শিরোনাম
শনিবার, ১০ এপ্রিল, ২০২১ ০০:০০ টা

আট বছরেও বিচার হয়নি হেফাজত তাণ্ডবের

তদন্তেই ঘুরপাক খাচ্ছে চট্টগ্রামের ভুজপুর ট্র্যাজেডির

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম

আট বছরেও বিচার হয়নি চট্টগ্রামের ফটিকছড়ির ভুজপুর ট্র্যাজেডির। হেফাজতে ইসলাম ও জামায়াত-শিবিরের হামলার ওই ঘটনায় তিন আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মী নিহত এবং দুই শতাধিক ব্যক্তি আহত হওয়ার ঘটনাটি এখনো তদন্তের মধ্যেই ঘুরপাক খাচ্ছে। অভিযোগ রয়েছে, আসামিদের পক্ষ থেকে অনৈতিক সুবিধা গ্রহণ করে চার্জশিট থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ত কয়েকজনকে। শুক্রবার চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে এ অভিযোগ করেন হেফাজতে ইসলাম ও জামায়াতের নেতা-কর্মীদের হামলায় নিহত আওয়ামী লীগ নেতা ফারুক ইকবালের স্ত্রী সানজিদা আরফিন নিসু। এ সময় উপস্থিত ছিলেন নিহত মো. রুবেল ও মো. ফোরকান উদ্দিনের পরিবারের সদস্যরাও।

সংবাদ সম্মেলনে সানজিদা আরফিন নিসু বলেন, ভুজপুর ট্র্যাজেডির ঘটনার পরিকল্পনাকারী রাজনৈতিক নেতাদের সহযোগিতা ও প্রশ্রয়ে মামলার আসামিরা পার পেয়ে যাচ্ছে। মূল পরিকল্পনাকারী রাজাকারপুত্র ইকবাল, মোল্লা জালাল ও তৌফিককে মূল চারটি মামলা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। যদিও তাদের বিরুদ্ধে হত্যাকান্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার সুনির্দিষ্ট অভিযোগ আছে। ওই চার্জশিটগুলোর বিরুদ্ধে নারাজি দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে মামলা পিবিআই তদন্ত করছে। বাদ পড়া আসামিদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানাই। বাদ পড়া আসামিরা এখন আমাদের প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছে।

জানা যায়, ২০১৩ সালের ১১ এপ্রিল ফটিকছড়ির ভুজপুরে আওয়ামী লীগের মিছিলে হামলা চালায় হেফাজতে ইসলাম ও জামায়াত-শিবির। ওই হামলায় পিটিয়ে হত্যা করা হয় আওয়ামী লীগ নেতা ফারুক ইকবাল বিপুল, মো. রুবেল এবং মো. ফোরকান উদ্দিনকে। হামলায় আহত হন দুই শতাধিক ব্যক্তি। মোটরসাইকেল, ফায়ার সার্ভিসের গাড়িসহ দুই শর অধিক গাড়ি পুড়িয়ে দেওয়া হয়। এ ঘটনায় তিনটি মামলার চার্জশিটে ৬২৩ জনকে আসামি করা হয়। এর মধ্যে মো. রুবেল হত্যা মামলায় ২১৯ জন, ফারুক ইকবাল বিপুল হত্যা মামলায় ২০৭ জন এবং ফোরকান হত্যা মামলায় ১৯৭ জনকে আসামি করা হয়। তিনটি মামলাতেই ভুজপুর ইউনিয়নের জামায়াত নেতা শফিউল আলম নূরীকে প্রধান আসামি করা হয়।

সর্বশেষ খবর