রবিবার, ১১ এপ্রিল, ২০২১ ০০:০০ টা

বাঁচতে চাই না বলেই গলায় ফাঁস গৃহকর্মীর

নিজস্ব প্রতিবেদক

‘আমি আর বাঁচতে চাই না’ ফোনে ছোট বোনকে এমনটি বলেই গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছেন জামেনা বেগম (১৯) নামে এক গৃহকর্মী। গত শুক্রবার রাত ১২টার দিকে রাজধানীর সিদ্ধেশ্বরী রোডের ২৬৫-৬৬ নম্বর বাড়ির ১২/বি ফ্ল্যাটে এ ঘটনা ঘটে। ওই রাতে জামেনা তার ছোট বোন আয়শাকে ফোন করে কথা শেষ হওয়ার পরপরই আত্মহত্যার পথ বেঁচে নেন। তবে তিনি কি কারণে আত্মহত্যা করেছেন তা নিশ্চিত করতে পারেনি কেউ। জানা গেছে, গত ছয় মাস ধরে জামেনা ওই ফ্ল্যাটে আক্তারুজ্জামান চৌধুরীর বাসায় গৃহকর্মীর কাজ করে আসছিলেন। তিনি অবিবাহিত ছিলেন। আসন্ন ঈদের পর তার বিয়ের কথা ছিল। কিন্তু শুক্রবার রাতে তার থাকার রুমের ফ্যানের সঙ্গে ওড়না পেঁচিয়ে গলায় ফাঁস দেন। ঘটনার সময় গৃহকর্তার বাসায় সবাই ছিলেন। মৃতের বোন আয়শা জানান, তাদের গ্রামের বাড়ি ময়মনসিংহের ধোবাউড়ায়। তার বাবার নাম কাজিম উদ্দিন।

তারা চার বোন। তিনি বাড়িতে থাকেন। বোনের মৃত্যুর খবরে গতকাল ঢাকায় আসেন। ঈদের পরই জামেনার পছন্দের ছেলের সঙ্গে তার বিয়ে হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু শুক্রবার রাত ১০টার দিকে জামেনা আমাকে ফোন করে বলে, সে আর বাঁচতে চায় না। এ বলেই ফোন কেটে দেয়। তখন আমার ফোনে টাকা ছিল না। টাকা লোড করতে করতে পৌনে ১১টা বেজে যায়। এরপর জামেনাকে কল করলে তার নম্বর বন্ধ পাই। পরে জামেনা যেই খালার মাধ্যমে কাজটা নিয়েছিল, আমি ফোন করে সে খালাকে বিষয়টি জানাই। ওই খালা জামেনার গৃহকর্তাকে ফোন করে জানালেও ততক্ষণে জামেনা গলায় ফাঁস দিয়েছে।

গৃহকর্তা আকতারুজ্জামান চৌধুরী বলেন, হেলেনা নামের এক মহিলার মাধ্যমে তার বাসায় কাজে আসে জামেনা। সে ঠিকমতো কাজও করত। কখনো তেমন কিছু দেখিনি। কিন্তু শুক্রবার রাতে হেলেনার ফোন পেয়ে জামেনার রুমে যাই। দেখি, রুমের দরজা বন্ধ। পরে দরজা ভেঙে ভিতরে ঢুকে ফ্যানের সঙ্গে ওড়না পেঁচানো অবস্থায় তাকে ঝুলতে দেখে তাড়াতাড়ি নামাই। কিন্তু এর আগেই তার মৃত্যু হয়।

রমনা থানার এসআই বিপ্লব সরকার জানান, ঢাকা মেডিকেল কলেজে (ঢামেক) ময়নাতদন্ত শেষে শনিবারই (গতকাল) মৃতের স্বজনরা মরদেহ নিয়ে গেছেন। তবে মৃতের পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ নেই। মৃত জামেনার শরীরেও কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর