লকডাউনে পোশাক শ্রমিকদের হয়রানির অভিযোগ তুলেছে গার্মেন্টস শ্রমিক কর্মচারী ঐক্য পরিষদ বা জি-স্কপ। শ্রমিক কর্মচারী ঐক্য পরিষদ- স্কপভুক্ত গার্মেন্টস শ্রমিকদের এই জোট বলেছে- পর্যাপ্ত পরিবহনের ব্যবস্থা না করে লকডাউনের মধ্যে কারখানা খোলা রেখে শ্রমিকদের হয়রানি করা হয়েছে। এ ঘটনার নিন্দা জানিয়ে সংগঠনটি করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি নিয়ে কর্মরত শ্রমিকদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত ও ঝুঁকি ভাতা প্রদানের দাবি জানিয়েছে। গতকাল জি-স্কপের যুগ্ম সমন্বয়কারী আবদুল ওয়াহেদ ও কামরুল আহসান স্বাক্ষরিত গণমাধ্যমে পাঠানো বিবৃতিতে এ দাবি জানানো হয়। এতে বলা হয়- গার্মেন্ট মালিকরা বারবার নিজেদের দেওয়া প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করছেন। তারা উৎপাদন এবং রপ্তানির প্রয়োজন দেখিয়ে নিজ ব্যবস্থাপনায় শ্রমিক পরিবহনের ব্যবস্থা এবং কারখানায় স্বাস্থ্যবিধির যথাযথ বাস্তবায়ন করবেন, এই শর্তে কারখানা খোলা রাখার অনুমতি নিয়েছেন। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম বলছে- শ্রমিকদের নিয়ে যাওয়ার জন্য পরিবহনের ব্যবস্থা না করে কারখানা খোলা রাখায় সর্বাত্মক লকডাউনের প্রথম দিনেই শ্রমিকরা পরিবহন সংকট, অতিরিক্ত যাতায়াত ব্যয় বহন, জিজ্ঞাসাবাদসহ নানা হয়রানির শিকার হয়েছেন। তাছাড়া শ্রমিকদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করার কথা বলা হলেও, সব কারখানায় প্রয়োজনীয় আয়োজন করা হয়নি। করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতির এক বছর অতিক্রান্ত হওয়া এবং সরকারের কাছ থেকে বিভিন্নভাবে প্রায় অর্ধ লাখ কোটি টাকা ঋণের সমর্থন পাওয়ার পরও এ ধরনের দায়িত্বহীন আচরণ কাম্য নয়। ওই বিবৃতিতে জি-স্কপ বলেছে- করোনা পরিস্থিতি এই সত্যকে নতুন করে সামনে এনেছে যে, শ্রমিকরাই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে দেশের উৎপাদন, রপ্তানি তথা অর্থনীতির চাকা চালু রাখে। অথচ সেই শ্রমিকের কপালে জোটে অনাহার, বিনা চিকিৎসা, হয়রানি আর নির্যাতন। করোনা সংক্রমণের মারাত্মক ঝুঁকি এবং লকডাউনের মধ্যেও বকেয়া বেতনের দাবিতে আশুলিয়া এবং গাজীপুরে শ্রমিকদের রাস্তায় নামতে হয়েছে। এই পরিস্থিতির জন্য দায়ী মালিকের বিরুদ্ধে কোনো শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে কি?
