শিরোনাম
শনিবার, ১৭ এপ্রিল, ২০২১ ০০:০০ টা
এলপিজি

প্রতি মাসে দর পরিবর্তন আইনের লঙ্ঘন : ক্যাব

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রতি মাসে একবার করে তরল পেট্রোলিয়াম গ্যাসের (এলপিজি) মূল্য পরিবর্তনে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) ঘোষিত আদেশকে আইন বহির্ভূত বলে উল্লেখ করে চিঠি দিয়েছে কনজিউমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব)। গত ১৫ এপ্রিল ক্যাবের আইনজীবীর পাঠানো এক চিঠিতে এ কথা বলা হয়েছে। কমিশনের চেয়ারম্যান আবদুল জলিলের কাছে পাঠানো এ চিঠিতে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ না হওয়ার কথা জানিয়েছে ক্যাব। এ কারণে এলপিজির মূল্য হার পরিবর্তনে বিইআরসি যে কমিটি গঠন করছে সেখানে প্রতিনিধি মনোনয়নও দিচ্ছে না ক্যাব।

ক্যাবের জ্বালানি উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. শামসুল আলম চিঠি পাঠানোর কথা স্বীকার করে বলেন, আমরা মনে করি প্রতি মাসে এলপিজির দাম নির্ধারণের এখতিয়ার কমিশনের নেই। এতে ভোক্তার অধিকার সংরক্ষণ হবে না।

আইন অনুযায়ী গণশুনানি করে সাধারণের মতামতের ভিত্তিতে দাম নির্ধারণ করার কথা। তা না করে কমিশন কমিটি করে দাম নির্ধারণ করতে চায়। যা বিইআরসির আইন অনুযায়ী সঠিক নয়।

ক্যাবের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট হুমায়ন কবীর ভূঁইয়া স্বাক্ষরিত চিঠিতে বলা হয়েছে, বিইআরসি আইনের ৩৪(৫) ধারা মতে, কোনো জ্বালানির মূল্যহার বছরে প্রয়োজনে একাধিকবার পরিবর্তন করা হতে পারে। কিন্তু প্রতি মাসে অর্থাৎ বছরে ১২ বার নিয়ম করে পরিবর্তন করতে পারে না।

গত ১২ এপ্রিল বিইআরসি দেশে এলপিজির দর নির্ধারণ করে। এ আদেশের সঙ্গে সংস্থাটি এও বলে, এখন থেকে প্রতি মাসেই তারা এলপিজির দর নির্ধারণ করে দেবে। ক্যাব দাবি করেছে মূল্যহার ন্যায্য ও যৌক্তিক হতে হলে এটি নির্ধারণের পদ্ধতিতে স্বচ্ছতা ও নিরপেক্ষতা থাকতে হবে। প্রবিধান মতে, গণশুনানি হতে হবে এবং গণবিজ্ঞপ্তি দিয়ে স্বার্থসংশ্লিষ্ট পক্ষগুলোর উপস্থিতি নিশ্চিত করতে হবে।

সৌদি আরবের সিপির ভিত্তিতে ভোক্তা পর্যায়ে এলপিজি ও অটোগ্যাসের মূল্যহার সম্পর্কে সুপারিশ প্রণয়নের লক্ষ্যে বর্ণিত কমিটিতে ক্যাবের একজন উপযুক্ত প্রতিনিধির মনোয়ন অবহিত করার অনুরোধ জানিয়েছে বিইআরসি। কিন্তু ক্যাব প্রতিনিধি দিচ্ছে না বলে জানিয়ে দিয়েছে।

সংশ্লিষ্টরা জানান, এলপিজির দাম আন্তর্জাতিক বাজারে ওঠানামা করার কারণে দেশের বাজারে দামের উত্থান-পতন ঘটে। কিন্তু গ্রাহকের সুবিধার কথা বিবেচনায় নিয়ে আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে তাল মিলিয়ে দেশের বাজারকে সমন্বিত করা যায় না। এতে কোম্পানিগুলোকে লোকসান গুনতে হয়। এসব জটিলতার ফলে দেশের এলপিজি খাতে ৩২ হাজার কোটি টাকার বিনিয়োগ আজ হুমকির মুখে। অনিশ্চিয়তার মুখে পড়ার উপক্রম এ খাত সংশ্লিষ্ট বিপুল সংখ্যক জনবল। এ খাত সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এ দেশে ব্যবসা করার ব্যয় অন্য কোনো দেশের তুলনায় অনেক বেশি। ফলে এ খাতের ব্যবসায় টিকে থাকা আরও বেশি চ্যালেঞ্জিং হয়ে পড়েছে। 

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর