মঙ্গলবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২১ ০০:০০ টা

হাসপাতাল থেকে পালানো ১০ করোনা রোগী এখন হোম কোয়ারেন্টাইনে

নিজস্ব প্রতিবেদক, যশোর

ভারত থেকে সাত করোনা রোগীসহ যশোর জেনারেল হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডের রেড জোন থেকে পালানো ১০ করোনা রোগীর অবস্থান নিশ্চিত হয়েছে প্রশাসন। যশোরের সিভিল সার্জন ডা. শেখ আবু শাহীন গতকাল বিকালে জানান, স্থানীয় প্রশাসনের তদারকিতে এসব করোনা রোগীকে আপাতত নিজ নিজ বাড়িতে কোয়ারেন্টাইনে রাখা হচ্ছে। পরে নয়জনকেই আবার যশোর জেনারেল হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডে আনা হবে এবং প্রত্যেকের পুনরায় কভিড টেস্ট করা হবে। শুধু সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার প্রতাপপাড়ার মিলন হোসেনকে বাড়িতে কোয়ারেন্টাইনে রেখেই চিকিৎসা দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। যশোর ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ড থেকে পালিয়ে যাওয়া ১০ জনের মধ্যে সাতজনই ভারত থেকে করোনায় আক্রান্ত হয়ে দেশে ঢোকেন। পালিয়ে যাওয়া ১০ জনের মধ্যে যশোরের চার, খুলনার তিন, সাতক্ষীরার দুই ও রাজবাড়ীর একজন রয়েছেন। ১৮ থেকে ২৪ এপ্রিল- এ সাত দিনে এসব রোগী পালিয়েছেন। ভারত থেকে করোনায় আক্রান্ত সাতজন যশোরের বেনাপোল সীমান্ত দিয়ে দেশে ঢুকলে তাদের যশোর জেনারেল হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডের রেড জোনে রাখেন কর্তৃপক্ষ। সেখান থেকে ১৮ এপ্রিল খুলনা সদর উপজেলার কলিম কৃষ্ণের ছেলে বিবেকানন্দ (৫২), ২৩ এপ্রিল সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার প্রতাপপাড়ার জালাল হোসেনের ছেলে মিলন হোসেন, কালীগঞ্জ উপজেলার মনতোষ সরদারের স্ত্রী শেফালী রানী (৪০), যশোর শহরের  পশ্চিম বারান্দিপাড়ার বিশ্বনাথ দত্তের স্ত্রী মণিমালা দত্ত (৪৯), রাজবাড়ী সদরের রামকান্তপুরের গোলাম রাব্বানীর মেয়ে নাসিমা আক্তার (৫০), খুলনার পাইকগাছা উপজেলার ডামরাইল গ্রামের আহমদ সানার ছেলে আমিরুল সানা (৫২) ও ২৪ এপ্রিল খুলনার রূপসার শের আলীর ছেলে সোহেল সরদার (১৭) পালিয়ে যান।

পালিয়ে যাওয়া বাকি তিনজনের বাড়ি যশোরে। এ তিনজন যশোর থেকেই করোনায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। পরে সেখান থেকে পালিয়ে যান। তারা হলেন যশোর সদর উপজেলার পাঁচবাড়িয়া গ্রামের রবিউল ইসলামের স্ত্রী ফাতেমা (১৯), একই গ্রামের একরামুল কবীরের স্ত্রী রুমা (৩০) ও যশোর শহরের ওয়াপদা গ্যারেজ এলাকার ভদ্র বিশ্বাসের ছেলে প্রদীপ বিশ্বাস (৩৭)।

সম্প্রতি করোনার নতুন ইন্ডিয়ান ভ্যারিয়েন্ট বিশ্বজুড়ে আতঙ্ক তৈরি করেছে। এ অবস্থায় ভারত থেকে করোনায় আক্রান্ত হয়ে দেশে ঢোকার পর হাসপাতাল থেকে সাতজনের পালিয়ে যাওয়ার ঘটনায় সাধারণ মানুষের মাঝে আতঙ্কের সৃষ্টি হয়। এক প্রশ্নের জবাবে সিভিল সার্জন ডা. শেখ আবু শাহীন বলেন, ‘ওই সাতজন যেহেতু ভারত থেকেই করোনা পজিটিভ সনাক্ত হয়ে এসেছিলেন তাই দেশে ঢোকার পর তাদের আর পরীক্ষা না করেই রেড জোনে রাখা হয়েছিল। আরও কিছু দিন পর তাদের নমুনা পরীক্ষা করে দেখা হতো তারা করোনা নেগেটিভ হয়েছেন কি না। এর আগেই তারা পালিয়ে গিয়েছিলেন।’

সর্বশেষ খবর