শিরোনাম
বুধবার, ২৮ এপ্রিল, ২০২১ ০০:০০ টা
এ ক ন জ রে

রাজশাহীতে মশার কামড়ে যন্ত্রণাময় জনজীবন

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী

রাজশাহীতে গরমের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে চলছে মশার উৎপাত। দিনে কিংবা রাতে মশার কামড়ে অতিষ্ঠ জনজীবন। অনেকে দিনের বেলা মশারি টানিয়ে ঘুম পাড়াচ্ছেন শিশুদের। এলাকার বাসিন্দারা জানিয়েছেন, ড্রেনগুলো দীর্ঘ সময় পরিষ্কার করেনি রাজশাহী সিটি করপোরেশন (রাসিক)। ফলে ড্রেনের পানিতে মশা বংশবিস্তার করছে। শুধু ঢিমেতালে চলছে মশার ডিম ধ্বংসের কাজ। রাসিকের মশক নিধন বিভাগ বলছে, রমজান মাসে ফগার মেশিন চালালে নগরবাসী ‘বিরক্ত’ হন। তাই ফগার মেশিন বন্ধ রাখা হয়েছে। নগরীর ৩০টি ওয়ার্ডে এখন শুধু লার্ভিসাইড ব্যবহার করা হচ্ছে। এতে শুধু মশার ডিম ধ্বংস করা হচ্ছে। কিন্তু লার্ভিসাইডে পরিণত মশা খুব একটা মরে না। নগর ভবন সংলগ্ন নগরীর দড়িখড়বোনা মহল্লার বাসিন্দা শফিকুল ইসলাম (৪০) বলেন, ‘লকডাউনে বাসায় বন্দী আছি। মনে হচ্ছে মানুষের সঙ্গে মশাও বাসায় আস্তানা গেঁড়েছে। দিনরাত মশার যন্ত্রণা। দিনেও কয়েল ছাড়া বাসায় থাকা যাচ্ছে না। সব সময় কয়েল জ্বালিয়ে রাখছি।’ নগরীর হাদির মোড় এলাকার বাসিন্দা আনোয়ারুল ইসলাম (৫৫) বলেন, ‘আমি তো লম্বা সময় মশা মারতে দেখিনি। ড্রেনও পরিষ্কার করতে দেখিনি। অন্য কেউ দেখে থাকলে দেখতে পারেন।’ রাসিকের দেওয়া তথ্য মতে, মশার ডিম ধ্বংসে ২০১৪ সালে লার্ভিসাইড ব্যবহার করা হয়েছিল। এরপর এ প্রক্রিয়া বন্ধ করে দেওয়া হয়। ‘পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর’ যুক্তি দেখিয়ে ২০১৫ সালে ফগার মেশিনও বন্ধ করে দেওয়া হয়। এরপর ড্রেনে শুধু ডিজেল- কেরোসিন দিয়েই মশা মারা হতো।

চার বছর পর ২০১৯ সালে আবার ফগার মেশিনে মশা মারার কার্যক্রম শুরু করা হয়। আর প্রায় সাত বছর পর গত মাসে লার্ভিসাইড ব্যবহার করে ডিম ধ্বংসের কাজ শুরু হয়।

রাসিকের প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা শেখ মো. মামুন ডলার বলেন, ‘ফগার মেশিনে কীটনাশক স্প্রে  পরিবেশের ক্ষতির কারণ। রোজার দিনে এটা ব্যবহার করলে মানুষ বিরক্ত হন। আবার ডিজেল-কোরোসিন ব্যবহারও পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর। তাই এগুলো ছেড়ে এখন লার্ভিসাইড ব্যবহার করা হচ্ছে। এতে মশার ডিম ধ্বংস হয়। মশা নিয়ন্ত্রণে এটাই সবচেয়ে কার্যকর পন্থা।’

সর্বশেষ খবর