শুক্রবার, ৩০ এপ্রিল, ২০২১ ০০:০০ টা

আবারও কমল এলপিজির দাম লোকসানের আশঙ্কা ব্যবসায়ীদের

দাম পরিবর্তন হয়নি সরকারি এলপিজির, কমেছে অটোগ্যাসের দামও

নিজস্ব প্রতিবেদক

আবারও কমল এলপিজির দাম লোকসানের আশঙ্কা ব্যবসায়ীদের

বিশ্ববাজারে দাম কমায় দেশে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাসের (এলপিজি) দাম সমন্বয় করে তা আবারও কমিয়েছে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)। এতে বেসরকারি খাতে ১২ কেজি সিলিন্ডারের এলপিজি ভ্যাটসহ ৯৭৫ টাকা থেকে কমিয়ে এখন ৯০৬ টাকা করা হয়েছে। এটি সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য, যা আগামী ১ মে থেকে কার্যকর হবে। এর আগে চলতি মাসেই একবার দাম ঘোষণা করা হয়। এর ঠিক ১৭ দিনের মাথায় আবার নতুন দাম নির্ধারণ করায় দেশের এলপিজি খাতে ৩২ হাজার কোটি টাকার বিনিয়োগ হুমকির মুখে পড়েছে বলে আশঙ্কা করছেন এলপিজি ব্যবসায়ীরা।

তবে উৎপাদন পর্যায়ে ব্যয় পরিবর্তন না হওয়ায় রাষ্ট্রায়ত্ত কোম্পানির এলপিজির দাম পরিবর্তন করা হয়নি। সরকারি সাড়ে ১২ কেজি এলপিজি সিলিন্ডারের দাম আগের মতো ৫৯১ টাকাই থাকছে। আর গাড়িতে ব্যবহৃত অটোগ্যাস বা এলপিজির নতুন দাম প্রতি লিটার ৪৪ টাকা ৭০ পয়সা। এর আগে এটি ছিল ৪৭ টাকা ৯২ পয়সা। তবে সংশ্লিষ্ট এলপিজি ব্যবসায়ীরা বলছেন, এলপিজির দাম আন্তর্জাতিক বাজারে ওঠানামা করার কারণে দেশের বাজারে দামের উত্থান-পতন ঘটে। কিন্তু গ্রাহকের সুবিধার কথা বিবেচনায় নিয়ে আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে তাল মিলিয়ে দেশের বাজারকে সমন্বিত করা যায় না। এতে কোম্পানিগুলোকে লোকসান গুনতে হয়। গতকাল অনলাইনে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে নতুন দাম ঘোষণা করে বিইআরসি কর্তৃপক্ষ। এর আগে গত ১২ এপ্রিল দেশে প্রথমবারের মতো এলপিজির দাম নির্ধারণ করে এ সংস্থা। তখন বলা হয়, বিশ্ব বাজারের সঙ্গে মিল রেখে প্রতি মাসে এলপিজির দাম সমন্বয় করা হবে। তবে প্রথম দফায় এলপিজির দাম নির্ধারণের পর দাম আর বাড়ানোর জন্য কিছু যুক্তি দিয়ে বিইআরসিকে চিঠি দিয়েছিল আমদানিকারকরা। তবে তাদের সেই দাবি বিবেচনায় নেয়নি বিইআরসি কর্তৃপক্ষ। আগামী ৬ মে দুই পক্ষের মধ্যে এনিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হবে বলে অনুষ্ঠানে জানানো হয়।

জানা যায়, এলপিজি তৈরির মূল উপাদান প্রপেন ও বিউটেন বিভিন্ন দেশ থেকে আমদানি করা হয়। প্রতি মাসে এলপিজির এ দুই উপাদানের মূল্য প্রকাশ করে সৌদি প্রতিষ্ঠান আরামকো। এটি কার্গো মূল্য (সিপি) নামে পরিচিত। বিইআরসি এই সিপি মূল্য ধরে দেশে এলপিজির দাম সমন্বয় করছে।

সংবাদ সম্মেলনে বিইআরসির চেয়ারম্যান মো. আবদুল জলিল বলেন, সৌদি সিপির ভিত্তিতেই দাম সমন্বয় করা হয়েছে। তাই এর বাইরে অন্য কিছু বিবেচনা করা হয়নি। প্রপেন ও বিউটেনের প্রতি টন সৌদি সিপি গড়ে ৫৪০ দশমিক ৫০ মার্কিন ডলার ধরে হিসাব করা হয়েছে। এর সঙ্গে সম্পর্কিত মূসক ও ডলারের বিপরীতে টাকার মান ধরে আনুপাতিকহারে পরিবর্তন হয়েছে।

দাম ঘোষণার আদেশে বলা হয়, দাম সমন্বয়ে গঠিত বিইআরসির কমিটি ২৫ এপ্রিল কমিশনের কাছে প্রস্তাব করে। এরপর ২৮ এপ্রিল অনলাইনে শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। এতে নতুন দাম চূড়ান্ত করা হয়।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর