ভাত, রুটি না খেয়ে একবেলা থাকা যায় কিন্তু পানি না খেলে একমুহূর্তও কাটে না জীবন। বৈশাখের তীব্র এই দাবদাহে জীবন বাঁচাতে বাধ্য হয়ে দুই কিলোমিটার পথ পায়ে হেঁটে কলসি নিয়ে দুর্গাবাটি সাইক্লোন শেল্টার থেকে বিশুদ্ধ খাবার পানি সংগ্রহ করতে এসে কথাগুলো বলছিলেন সাতক্ষীরা শ্যামনগর উপজেলার বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়নের তাপসি মন্ডল। তার পাশে দাঁড়িয়ে পানি নিতে আসা এইক ইউনিয়নের কতবানু বিবি জানালেন ৫ মাস ধরে কোনো বৃষ্টি নেই। খাবার পানির অধিকাংশ পুকুর শুকিয়ে গেছে। রোজার মধ্যে বাধ্য হয়ে ৩ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে পানি নিতে এসেছি। কিছুদিন আগেও কর্দমাক্ত দুর্গন্ধময় পানি জীবন বাঁচাতে সংগ্রহ করে তাদের বাধ্য হয়ে খেতে হয়েছে। তাপসি মন্ডল, কতবানুর মতো পায়ে হেঁটে আরও ৩ থেকে ৪ গ্রামের শত শত মানুষ এসেছেন সুপেয় পানি নিতে। সবার কাঁধে কলস। পানি নেওয়ার জন্য লাইনে দাঁড়িয়ে তাদের দীর্ঘ অপেক্ষা। এ চিত্র এখন কালিগঞ্জ, আশাশুনি ও শ্যামনগর উপজেলার উপকূল জুড়ে।