বৃহস্পতিবার, ৬ মে, ২০২১ ০০:০০ টা

ভ্যাকসিন না এলে টাকা ফেরত পাব

নিজস্ব প্রতিবেদক

ভ্যাকসিন না এলে টাকা ফেরত পাব

অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, সেরাম ইনস্টিটিউটের করোনা ভ্যাকসিন যে আসবে না তা কিন্তু নিশ্চিত নয়। অর্থাৎ ভ্যাকসিন আসার ব্যাপারে অনিশ্চয়তার সৃষ্টি হয়েছে। তবে যে চুক্তি হয়েছে তা আন্তর্জাতিক। সে চুক্তি অনুযায়ী সেরাম ভ্যাকসিন সরবরাহ করতে না পারলে বাংলাদেশ টাকা ফেরত পাবে। গতকাল ভার্চুয়ালি অর্থনৈতিক বিষয়ক সংক্রান্ত ও সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক শেষে জুম প্ল্যাটফরমে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা জানান।

ভ্যাকসিনের জন্য সেরাম ইনস্টিটিউটকে আগাম টাকা দেওয়া হয়েছিল, ‘তারা ভ্যাকসিন দিতে না পারলে টাকা ফেরত দেবে কি-না জানতে চাইলে অর্থমন্ত্রী বলেন, সেরাম ইনস্টিটিউট থেকে ভ্যাকসিন আসবে না সেটাও তো আমরা জানি না। আমরা তাদের সঙ্গে কথাবার্তা বলছি। আলোচনা চলছে। আমরা যখন চূড়ান্তভাবে জানতে পারব যে ভ্যাকসিন আসবে না, তখন চূড়ান্তভাবে এটি নিয়ে কথা বলতে পারব। ভ্যাকসিন না এলে অবশ্যই টাকা ফেরত পাব। এভাবে কোনো দেশ কোনো দেশের টাকা মেরে দেয় নাকি! আমরা লিগ্যাল ডকুমেন্টের মাধ্যমে চুক্তি করেছি। এটা তো গোপন কোনো কাজ নয়। কাগজপত্রে লেখালেখি হয়েছে, ডকুমেন্টেশন হয়েছে। সুতরাং কন্ট্রাক্টচুয়্যাল ডিভিশন তাদেরও আছে আমাদেরও আছে। আমরা চেষ্টা করছি ভ্যাকসিন আনার জন্য। আমরা অন্যান্য সোর্সেও চেষ্টা করছি ভ্যাকসিনের জন্য।

এ সময় তিনি আরও বলেন, আমি আগেই বলেছি আমরা একটা সোর্সের ওপর নির্ভর থাকিনি। এটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, দেশের মানুষের জীবন-মরণ নিয়ে প্রশ্ন। সুতরাং এখানে আমরা শুধুমাত্র একটি সোর্সের ওপর নির্ভরশীল হয়ে বসে থাকলে হবে না। তাই এর পাশাপাশি আরও বিভিন্ন সোর্স থেকে যারা ভ্যাকসিন তৈরি করে এবং যারা গ্রহণযোগ্য, যাদের ভ্যাকসিনে কোনো আশঙ্কা নেই সে সব কোম্পানি থেকেও আমরা ভ্যাকসিন নেওয়ার জন্য চেষ্টা করছি।

ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটের সঙ্গে চুক্তিতে ক্ষতিপূরণের সুযোগ রাখা হয়েছে কি-না জানতে চাইলে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘এটা এই মুহূর্তে বলতে পারব না। আন্তর্জাতিক চুক্তিতে যে সব শর্ত থাকে সকল শর্তই এই চুক্তিতে আছে। আমরা এখনই একদম ঘোষণায় চলে যেতে চাই না যে, তাদের সঙ্গে যে চুক্তি করেছিলাম সেই ভ্যাকসিন আসবে না, এমনটি আমরা বলিনি। তারাও এখনো বলেনি যে তারা দেবে না। এটার জন্য অপেক্ষা করছি। তারাও হয়তো সময় নিচ্ছে।

যেহেতু রাশিয়া ও চীন থেকে ভ্যাকসিন পাওয়া যাচ্ছে, সেই পরিপ্রেক্ষিতে সেরামের কাছ থেকে কবে নাগাদ টাকা ফেরত চাওয়া হবে, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এ বিষয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এবং স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আলাপ করুন। তিনি প্রতিনিয়ত এটি নিয়ে কাজ করেন, তিনি আপনাদের ভালোভাবে বলতে পারবেন।

অর্থমন্ত্রী আরও বলেন, গণপূর্ত বিভাগের দেশীয় অর্থায়নে যেসব নতুন প্রকল্প অনুমোদনের জন্য আসছে আমরা সেগুলোর অনুমোদন দিচ্ছি না। কেননা এই অর্থবছরের আর মাত্র এক মাস বাকি রয়েছে। এর মধ্যে প্রকল্প শেষ করা যাবে না। তবে এই বিভাগের বিদেশি সাহায্যপুষ্ট প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়া হচ্ছে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর