শনিবার, ৮ মে, ২০২১ ০০:০০ টা

এক মাসে পণ্য পরিবহনে পাকশী বিভাগের আয় ১৫ কোটি টাকা

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী

লকডাউনে যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল বন্ধ। তবে পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ে পাকশী বিভাগে এক মাসে ভারত থেকে সর্বোচ্চ ১৬২টি পণ্যবাহী রেক (মালবাহী ট্রেনের কোচ) এসেছে বাংলাদেশে। ভারত থেকে পণ্য পরিবহনে এতে পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়েতে শুধু রাজস্ব আয় হয়েছে ১৫ কোটি ৫২ লাখ ৬ হাজার ২১৫ টাকা। একই সঙ্গে দেশে খাদ্য চাহিদা পূরণও সম্ভব হয়েছে।  দ্বিতীয় দফার লকডাউনে যাত্রীবাহী ট্রেন এক মাস চলাচল না করার কারণে শুধু এপ্রিল মাসে এই রেকর্ড গড়ল। বাংলাদেশ থেকে খালি রেক ফেরত গেছে ১৫৯টি। গতকাল দুপুরে পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের পাকশী বিভাগীয় কর্মকর্তা (ডিটিও) আনোয়ার হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, দ্বিতীয় দফার লকডাউনে যাত্রীবাহী সব ট্রেন বন্ধ। এ কারণে পণ্যবাহী ট্রেনগুলোর দিকে সর্বোচ্চ সময় দেওয়া হয়। তাছাড়া যাত্রীবাহী ট্রেন বন্ধ থাকায় পণ্যবাহী ট্রেনগুলো চলাচলে সময়ক্ষেপণ কিংবা ট্রেন ক্রসিং সমস্যায় পড়তে হয়নি। চাহিদা মোতাবেক পাওয়া গেছে ইঞ্জিন, ক্রু (চালক) এবং ট্রেন পরিচালক (গার্ড)। এজন্য চলতি বছরের শুধু এপ্রিল মাসেই ভারত থেকে ১৬২টি পণ্যবাহী ট্রেন আসা সম্ভব হয়েছে। যার মধ্যে গম ৪০, চাল ২১, ভুট্টা ৮ ও পাথর ২৭। এ ছাড়া ৬০টি  পিঁয়াজ, খৈল ফ্রাইআশ, বক্সেন পাথরসহ পণ্যজাত হস্তান্তর করেছে ভারত। পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ে পাকশী বিভাগীয় রেলওয়ে বাণিজ্যিক কর্মকর্তা (ডিসিও) নাসির উদ্দিন জানান, ভারত থেকে পণ্যসামগ্রী আসার জন্য পাকশী বিভাগীয় রেলওয়েতে রাজস্ব আয় বৃদ্ধি পেয়েছে। পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ে পাকশী বিভাগীয় রেলওয়ের পরিবহন কর্মকর্তা (ডিটিও) আনোয়ার হোসেন জানান, স্বাধীনতার পর ভারত থেকে বাংলাদেশে মাসে গড়ে ৭০-৮০টি পণ্যবাহী ট্রেন আনা-নেওয়া সম্ভব হতো। কারণ যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচলের কারণে পণ্যবাহী ট্রেনগুলো চলাচলে কিছু সময় লাগত। চাহিদা থাকলেও সময়মতো ইঞ্জিন, ক্রু (চালক) ও পণ্যবাহী ট্রেন পরিচালক (গার্ড) পাওয়া যেত না। করোনাকালীন মহামারীতে সরকারি সিদ্ধান্তে যাত্রীবাহী সব ট্রেন বন্ধ থাকায় পণ্যবাহী ট্রেনগুলোর চলাচলে গতি বেড়েছিল।  তিনি জানান, পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ে রাজশাহীর চিফ অপারেটিং সুপারিনটেনডেন্টের সার্বিক তত্ত্বাবধানে চলতি বছরের এপ্রিল মাসে পাকশী বিভাগ সর্বোচ্চ রেকর্ড ১৬২টি পণ্যবাহী রেক ভারত থেকে বাংলাদেশে নিয়ে এসেছে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর