রবিবার, ৯ মে, ২০২১ ০০:০০ টা

‘বীর মুক্তিযোদ্ধা’ লেখার সাংবিধানিক ভিত্তি দেওয়ার দাবি

এমুস চেয়ারম্যানের বিবৃতি

মুক্তিযোদ্ধাদের নামের আগে ‘বীর মুক্তিযোদ্ধা’ ব্যবহারের যে প্রজ্ঞাপন ও নির্দেশনা সরকার জারি করেছেন তাকে সাধুবাদ জানিয়ে একাত্তরের মুক্তিযোদ্ধা সংসদের (এমুস) চেয়ারম্যান আবীর আহাদ বলেছেন, বিষয়টির সাংবিধানিক স্বীকৃতি একান্ত প্রয়োজন। নইলে এ-নির্দেশনা টেকসই হবে না। বীর মুক্তিযোদ্ধা আবীর আহাদ শনিবার এক বিবৃতিতে বলেন, বাংলাদেশের সংবিধানের মূল স্তম্ভ ‘প্রস্তাবনা’র কোথাও ‘মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিযোদ্ধা’ শব্দের অস্তিত্ব নেই! সংবিধানে যখন মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিযোদ্ধা শব্দদ্বয় স্বীকৃত নয়, সেখানে মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিযোদ্ধাদের হাজারো গুণকীর্তন করা হলেও সাংবিধানিক আইনের চোখে তা ধোপে টেকে না। আজকে মুক্তিযোদ্ধাদের নামের আগে ‘বীর’ লেখার যে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে এটার কোনো সর্বজন শাশ্বত গ্রহণযোগ্যতা নেই।

 কেননা, কোনো সময় যদি মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষ শক্তি রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আসীন হয়, তখন তারা আরেকটি প্রশাসনিক আদেশ জারির মাধ্যমে ‘বীর মুক্তিযোদ্ধা’ লেখার আদেশটি প্রত্যাহার করে নিতে পারবে। এমনকি চলমান সময়েও সবাই এ-নির্দেশনা মানবে, তার কোনো নিশ্চয়তা নেই। আইনি বাধ্যবাধকতাও নেই।

বিবৃতিতে বলা হয়, অনেক বিজ্ঞজন বলে থাকেন যে, সংবিধানে ‘মুক্তিসংগ্রাম’ শব্দটি ‘মুক্তিযুদ্ধ’ শব্দটির নামান্তর- একে অপরের পরিপূরক, একই অর্থ বহন করে। তাহলে তো বাংলাভাষার অভিধানে মুক্তিসংগ্রাম, মুক্তিযুদ্ধ বা স্বাধীনতা যুদ্ধ, স্বাধীনতা সংগ্রাম বলে পৃথক পৃথক প্রসঙ্গ বা শব্দ থাকত না- যে কোনো একটি প্রসঙ্গ দিয়ে সব প্রসঙ্গকে চিহ্নিত করা যেত! বিবৃতিতে আবীর আহাদ সংবিধানের পবিত্রতা ও ইতিহাসের স্বার্থে মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযুদ্ধকে সংবিধানের যথাযথ স্থানে লিপিবদ্ধ করার দাবি জানিয়ে বলেন, সংবিধানে মুক্তিযোদ্ধাদের ঐতিহাসিক অবদান স্বীকৃত হলেই কেবল ‘বীর মুক্তিযোদ্ধা’ নামের সার্থকতা মহিমান্বিত হয়। অন্যথায় এটা গাছের গোড়া কেটে আগায় জল ঢালার শামিল বলে পরিগণিত হবে!

 

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর