মঙ্গলবার, ১৮ মে, ২০২১ ০০:০০ টা

রাজধানীতে রামদা কুড়াল ইয়াবাসহ কিশোর গ্যাংয়ের ১৯ সদস্য গ্রেফতার

নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজধানীর শাহআলী, উত্তরা এবং আশুলিয়ায় পৃথক অভিযান চালিয়ে কিশোর গ্যাংয়ের ১৯ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-পুলিশ। তাদের কাছ থেকে একটি রামদা, ১টি চাইনিজ কুড়াল, ৪টি চাকু, ২টি চাপাতি, ৪১০ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়েছে।  র‌্যাব-৪ এর একাধিক দল গত রবিবার দিবাগত রাত ১২টা থেকে  ভোররাত পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করে। তারা হলো, রাতুল আহমেদ (২৪), আবু হাসনাথ রনি (২০), সাগর (২২), হৃদয় (১৯), আবদুুল্লাহ আল মামুন (১৭), সাকিব শেখ (১৭), জাহিদ (১৬), রাকিব হাওলাদার (১৭), সৌরভ (১৭), রাজন (১৬), নয়ন হোসেন (১৮), সিরাজুল ইসলাম (২০), রফিক (২১), শাকিব হাওলাদার (১৯), মিলন (২২), আকাশ (১৯), মো. রুবেল (২৮), ইয়াসিন আরাফাত (১৯)। এ ছাড়া রাজধানীর উত্তরা এলাকা থেকে কিশোর গ্যাংয়ের আরেক সদস্যকে অস্ত্রসহ গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ১৮ জনের বিষয়ে র‌্যাব-৪ এর মেজর কামরুল ইসলাম জানান, তাদের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি, ছিনতাইসহ অনেক অভিযোগ রয়েছে। কিছুদিন আগে দিয়াবাড়িতে দেশ ট্রাভেলসের সামনে এক ব্যক্তিকে গলায় ছুরিকাঘাত করে গ্রেফতারদের মধ্যে কয়েকজন। গ্রেফতারদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে র‌্যাব সূত্র বলছে,  গ্রেফতার কিশোর অপরাধীরা মাদক ব্যবসা, চাঁদাবাজি, ছিনতাইয়ে জড়িত থাকার বিষয় স্বীকার করেছে।

তারা দীর্ঘদিন ধরে রাস্তাঘাটে পরিকল্পিতভাবে দলবদ্ধ হয়ে সংঘাত সৃষ্টি ও ভয়ভীতি দেখিয়ে এলাকায় ত্রাস সৃষ্টি করে আসছিল। এ ছাড়াও ওই এলাকায় কোনো অপরিচিত লোক  গেলে জিম্মি করে মূল্যবান জিনিসপত্র ছিনিয়ে নিত। এদের চলাফেরা ও গতি খুব দ্রুত। এরা কারও কাছ থেকে ছিনতাইয়ের পর দ্রুত সেই সামগ্রীটি পেছনে থাকা তাদের দলের অন্য সদস্যদের কাছে দিয়ে  দেয়। ছিনতাইয়ের কাজে ব্যবহারের জন্য তারা সবসময় নিজেদের কাছে দেশীয় অস্ত্র রাখে। ছিনতাইকে কেন্দ্র করে এবং এলাকায় আধিপত্য বিস্তারের উদ্দেশ্যে প্রায়শই এক ব্রুপ অন্য ব্রুপের সঙ্গে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়।

ছোরা-রামদা উদ্ধার : রাজধানীর উত্তরা ১৮ নম্বর সেক্টরে চামেলি ভবনের একটি ফ্ল্যাট থেকে গতকাল ছোরা-রামদা উদ্ধারসহ কিশোর গ্যাংয়ের এক সদস্যকে অস্ত্রসহ গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তুরাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহাদী হাসান বলেন, আমাদের কাছে খবর ছিল ‘কিশোর গ্যাংয়ের’ এক সদস্য অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে উত্তরার একটা বাসায় আছে। পরে সেখানে অভিযান চালিয়ে তার তোশকের নিচ থেকে ছোরা, রামদা উদ্ধার করা হয়। এগুলো কেন জড়ো করেছে- তার কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি মকবুল। তার দুই সহযোগীকে পাওয়া যায়নি। তারা ঈদে বাড়ি গেছেন বলে জানিয়েছেন মকবুল।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর