শনিবার, ২২ মে, ২০২১ ০০:০০ টা

দেশীয় টিকা উৎপাদনে সহায়তা নেই মন্ত্রণালয়ের

নিজস্ব প্রতিবেদক

দেশীয় টিকা উৎপাদনে সহায়তা নেই মন্ত্রণালয়ের

জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের বলেছেন, বিদেশি টিকা আমদানি ও উৎপাদনে ব্যাপক উৎসাহ থাকলেও দেশীয় টিকা উৎপাদনে সহায়তা নেই মন্ত্রণালয়ের। আর এ কারণেই তিন মাস পার হলেও দেশে তৈরি করোনা টিকা বঙ্গভ্যাক্স ট্রায়ালের অনুমতি পাচ্ছে না। গতকাল এক বিবৃতিতে এ কথা বলেন তিনি। জি এম কাদের বলেন, ‘১৯৮২ সালে হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ ওষুধনীতি তৈরি করেন। তখন চাহিদার মাত্র ১৬ ভাগ ওষুধ দেশে তৈরি হতো।

ওষুধনীতির ফলে চাহিদার প্রায় ৯৭ ভাগ মিটিয়ে দেশে তৈরি ওষুধ বর্তমানে শতাধিক দেশে রপ্তানি হচ্ছে। বাংলাদেশেই প্রতিষ্ঠিত হয়েছে বিশ্বমানের অনেক ওষুধ কোম্পানি।

জাতীয় সংসদের বিরোধীদলীয় উপনেতা আরও বলেন, গত বছর বিশ্বসেরা প্রতিষ্ঠানগুলোর পাশাপাশি বাংলাদেশের গ্লোব বায়োটেক করোনা টিকা বঙ্গভ্যাক্স উৎপাদন করে। প্রাণীদেহে অ্যান্টিবডি তৈরিতে সফল হয়েছে এক ডোজের বঙ্গভ্যাক্স। ইতিমধ্যেই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বঙ্গভ্যাক্সকে করোনা প্রতিরোধে তালিকাভুক্ত করেছে। বঙ্গভ্যাক্সের গবেষণাপত্র যুক্তরাষ্ট্রের মেডিকেল জার্নাল ‘ভ্যাকসিন’-এ প্রকাশিত হয়েছে। বঙ্গভ্যাক্সের কোডিং সিকোয়েন্স যুক্তরাষ্ট্রের এনসিবিআই ডাটাবেজে  সংরক্ষিত হয়েছে। এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের অনলাইন প্লাটফরম বায়ো আর্কাইভে প্রকাশিত হয়েছে বঙ্গভ্যাক্সের গবেষণাপত্র। আবার ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের জন্য টিকা উৎপাদনে অনুমতি দিয়েছে বাংলাদেশ ঔষধ প্রশাসন। কিন্তু বাংলাদেশ মেডিকেল রিচার্স কাউন্সিলের পক্ষ থেকে অজানা কারণে অনুমোদন ঠেকিয়ে রাখা হয়েছে। ফলে বন্ধ হয়ে আছে বঙ্গভ্যাক্সের ট্রায়াল। অথচ বঙ্গভ্যাক্স সফল হলে টিকা সংকটকালে দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশেও রপ্তানি সম্ভব হবে। তাই বঙ্গভ্যাক্সের ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের অনুমতি দেওয়া জরুরি হয়ে পড়েছে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর