সোমবার, ২৪ মে, ২০২১ ০০:০০ টা

গাজীপুর উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ দ্রুত কার্যকর করুন

-মো. আনোয়ার সাদাত সরকার

গাজীপুর উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ দ্রুত কার্যকর করুন

বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ সিটি করপোরেশন হচ্ছে গাজীপুর সিটি করপোরেশন। অবকাঠামোগত সুযোগ-সুবিধা বেশি থাকায় যত্রতত্র গড়ে উঠছে শিল্প-কারখানা। আবার ডিটেইল এরিয়া প্ল্যান-(ড্যাপ) নিয়েও রয়েছে নানা অভিযোগ। তাই সিটি করপোরেশন এলাকায় আধুনিক নগরায়ণ, রাস্তাঘাটসহ অন্যান্য নাগরিক সুযোগ-সুবিধা ও পরিকল্পিত শিল্পায়নের জন্য  বাজেটে ‘গাজীপুর উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের’ জন্য বিশেষ বরাদ্দ দিয়ে এটিকে কার্যকর করা অতীব জরুরি। বাংলাদেশ প্রতিদিনকে কথাগুলো বলেন এফবিসিসিআইর পরিচালক ও গাজীপুর চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি মো. আনোয়ার সাদাত সরকার।

তিনি বলেন, কভিডের প্রভাবে সমগ্র বিশ্বের অর্থনীতি আজ প্রায় থমকে যাচ্ছে। বর্তমান এ সংকট থেকে উত্তরণের জন্য বিশ্বের বিভিন্ন দেশ বিশাল অঙ্কের আর্থিক বরাদ্দ এবং নানা ধরনের প্রণোদনা ঘোষণা করছে। এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশও পিছিয়ে নেই। দেশের অর্থনীতিকে সচল রাখার লক্ষ্যে ইতিমধ্যে সরকার কর্তৃক বিভিন্ন ধরনের সাহায্য-সহায়তা প্রদানসহ আর্থিক প্রণোদনা ঘোষণা করা হয়েছে। গার্মেন্ট ও রপ্তানিমুখী শিল্পের জন্য ৫ হাজার কোটি টাকার প্রণোদনা প্রদানের পাশাপাশি শুধু ক্ষুদ্র, কুটির ও মাঝারি শিল্প খাতের উদ্যোক্তাদের জন্য প্রণোদনা হিসেবে স্বল্প সুদে ২০ হাজার কোটি টাকার ঋণ সহায়তা প্রদানের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। ক্ষুদ্র, কুটির ও মাঝারি শিল্পের প্রণোদনা দক্ষতার সঙ্গে কাজে লাগাতে হবে। ব্যবসার প্রসারে, ব্যবসায়ীদের টিকিয়ে রাখতে প্রণোদনার ব্যবস্থা ও সহজ শর্তে ব্যাংক ঋণ বা বিশেষ ঋণের ব্যবস্থা করা জরুরি হয়ে পড়েছে। উৎপাদনমুখী শ্রমিকদেরও অগ্রাধিকার ভিত্তিতে টিকা দিতে হবে।

সরকার বিরাজমান এ সংকট মোকাবিলার জন্য খাদ্য নিরাপত্তার লক্ষ্যে কৃষি খাতে উৎপাদন বৃদ্ধির ওপর গুরুত্ব আরোপ করছে। আর কৃষির সঙ্গে জড়িয়ে আছে কৃষিভিত্তিক ও কৃষিসহায়ক শিল্প খাত। তাই কৃষির স্বার্থে ক্ষুদ্র, কুটির ও মাঝারি শিল্পের এ খাতকে সচল রাখাও একান্ত প্রয়োজন। খাদ্য উৎপাদনের সঙ্গে জড়িত কৃষি বিষয়ে বরাদ্দ দিতে হবে। কৃষক, কৃষি যন্ত্রাংশ তৈরিতে বাজেটে অতিরিক্ত বরাদ্দ থাকতে হবে। বাজেটে নগর উন্নয়ন ক্ষেত্রে বরাদ্দ থাকতে হবে। রাস্তাঘাটের টেকসই উন্নয়ন করতে হবে। একই রাস্তায় বছর বছর যেন কাজ করতে না হয়। এতে সময় ও অর্থের অপচয়ের পাশাপাশি মানুষের ভোগান্তি হয়। রাস্তাঘাটের টেকসই উন্নয়ন হলে অনেক কিছুই সাশ্রয় হবে। রাষ্ট্রের উন্নয়নও হবে।

ব্যবসা-বাণিজ্যের রয়েছে প্রচুর উদ্যোক্তা। সম্প্রতি অনেক উচ্চশিক্ষিতও ব্যবসা-বাণিজ্যে এগিয়ে আসছেন। তাদের জন্য সুযোগ সৃষ্টি করে দিতে হবে। তরুণ উদ্যোক্তারা সুযোগ পেলে ব্যবসা এগিয়ে যাবে।

আগামী বাজেটে স্বাস্থ্য খাতে বিশেষ বরাদ্দ দিয়ে স্বাস্থ্য খাত পুনর্গঠনের পাশাপাশি সামাজিক সুরক্ষা খাতেও অতিরিক্ত বরাদ্দ রাখা খুবই জরুরি। বেকারত্ব ও দারিদ্র্য যেন হ্রাস পায় সেদিকেও দৃষ্টি রাখতে হবে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর