বুধবার, ২৬ মে, ২০২১ ০০:০০ টা

চট্টগ্রামে করোনায় মৃত্যু শনাক্ত বেড়েছে

রেজা মুজাম্মেল, চট্টগ্রাম

সরকারি নির্দেশনা, জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ উপেক্ষা করে গত ঈদুল ফিতরের সময় বেপরোয়া চলাচলের প্রভাব পড়তে শুরু করেছে। গত তিন দিন ধরে চট্টগ্রামে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু ও শনাক্ত দুটিই বেড়েছে। সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, চট্টগ্রামে গত সোমবার ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আক্রান্ত হন ৯৩ জন ও মারা যান চারজন, গত ২৩ মে আক্রান্ত হন ১১৯ জন ও মারা যান চারজন, ২২ মে নতুন করে আক্রান্ত হন ১৩৭ জন, ২১ মে আক্রান্ত হন ১১৬ জন ও মারা যান তিনজন। অথচ এর আগে গত ১৫ মে আক্রান্ত হন ৬১ জন ও মারা যান একজন, ১৬ মে আক্রান্ত হন ২৫ জন ও মারা যান চারজন, ১৭ মে আক্রান্ত হন ৩৭ জন ও মারা যান একজন, ১৮ মে আক্রান্ত হন ৭০ জন ও মারা যান পাঁচজন।  চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বি বলেন, আমরা ঈদুল ফিতরের আগে-পরে সবাইকে বোঝানোর চেষ্টা করেছি, স্বাস্থ্যবিধি না মানলে, বেপরোয়া চলাচল করলে করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি পাবে। কিন্তু ঠিকই ঈদুল ফিতরের এক সপ্তাহ পর থেকে সংক্রমণ ও মৃত্যু দুটিই বৃদ্ধি পেল। সবাইকে বুঝতে হবে যে, করোনা প্রতিরোধে সর্বোচ্চ সতর্ক থাকা এবং স্বাস্থ্যবিধি মানার কোনো বিকল্প নেই। চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের কনসালটেন্ট ডা. রাজদীপ বিশ্বাস বলেন, ঈদের আগে সবাইকে বলা হয়েছে, এভাবে বেপরোয়া চলাচলের জন্য আমাদের চরম খেসারত দিতে হবে। অনেকেই কথা শুনেননি। ইচ্ছামতো চলাফেরা করেছেন। এখন সেই খেসারত শুরু হয়েছে। এক সপ্তাহ পার না হতেই সংক্রমণ ও মৃত্যু বৃদ্ধি পেয়েছে।

জানা যায়, চট্টগ্রামে গত বুধবার এক দিনে করোনার ৭৫৫টি নমুনা পরীক্ষা করে ৯৩ জন পজিটিভ হন। নতুন আক্রান্তদের মধ্যে নগরের ৬৪ জন এবং উপজেলার বাসিন্দা ২৯ জন। গতকাল পর্যন্ত চট্টগ্রামে মোট আক্রান্ত হন ৫২ হাজার ৭৩৬ জন। এর মধ্যে মহানগরে ৪২ হাজার ১১৬ জন এবং উপজেলায় ১০ হাজার ৬২০ জন। ইতিমধ্যে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৬০২ জন। মহানগরে ৪৩৪ জন এবং উপজেলায় ১৬৮ জন। চট্টগ্রামে সরকারি-বেসরকারি ১০টি ল্যাবে নমুনা পরীক্ষা চলছে।

সর্বশেষ খবর