নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে সাড়ে ছয় বছর পর ইউরোপে পুনরায় পান রপ্তানি শুরু হয়েছে। প্রথম চালানে রপ্তানি হচ্ছে এক মেট্রিক টন পান। গতকাল সকালে কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আবদুর রাজ্জাক এমপি ঢাকার শ্যামপুরে কেন্দ্রীয় প্যাকিং হাউসে ‘ইউরোপে নিরাপদ ও মানসম্পন্ন পান রপ্তানি’ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন। এ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে কৃষিমন্ত্রী বলেন, সরকারের নিরলস উদ্যোগের ফলে ইউরোপে পান রপ্তানি আবার শুরু হয়েছে। এটি আশার কথা। ভবিষ্যতে পান রপ্তানি যাতে বাধাগ্রস্ত না হয় সে ব্যাপারে কৃষি মন্ত্রণালয় উদ্যোগ অব্যাহত রাখবে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর, বাংলাদেশ ফ্রুটস ভেজিটেবলস অ্যান্ড এলাইড প্রোডাক্টস এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিএফভিএপিইএ) ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের বিজনেস প্রমোশন কাউন্সিল এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে স্থানীয় সংসদ সদস্য সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. মো. জাফর উদ্দীন, কৃষি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মেসবাহুল ইসলাম, বাংলাদেশ ফ্রুটস ভেজিটেবলস অ্যান্ড এলাইড প্রোডাক্টস এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিএফভিএপিইএ) সভাপতি এস এম জাহাঙ্গীর হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। সভাপতিত্ব করেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের মহাপরিচালক মো. আসাদুল্লাহ। ক্ষতিকর সালমোনেলা ব্যাকটেরিয়ার উপস্থিতির কারণে ২০১৪ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে বাংলাদেশ থেকে সাময়িকভাবে পান রপ্তানির ওপর ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) নিষেধাজ্ঞা জারি করে। যা ধাপে ধাপে ২০২০ পর্যন্ত বর্ধিত করে। পান সালমোনেলা ব্যাকটেরিয়া মুক্ত করা ছাড়াও দেশ থেকে আবার পণ্যটি রপ্তানিতে বেশ কিছু শর্ত জুড়ে দেয় ইইউ। উৎপাদন হতে শিপমেন্ট পর্যন্ত উত্তম কৃষি চর্চা, গুড হাইজিন প্র্যাকটিসেস, গুড ম্যানুফ্যাকচারিং প্র্যাকটিসেস অনুসরণ করা ছাড়াও আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন অ্যাক্রিডিটেড ল্যাব হতে সালমোনোলা ব্যাকটেরিয়ামুক্ত সার্টিফিকেট নিয়ে পান রপ্তানির শর্ত দেওয়া হয়। ইইউর আরোপিত শর্ত পূরণ করতে পারায় গত ১৫ এপ্রিল ২০২১ সালে পান রপ্তানির ওপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়।
নিষেধাজ্ঞা আরোপের আগে ২০১২-১৩ সালে ১৮ হাজার ৭৮০ টন ও ২০১৩-১৪ সালে ১৩ হাজার ২৫০ টন পান রপ্তানি হয়। যার মূল্য যথাক্রমে ৩৮ মিলিয়ন ও ৩০ মিলিয়ন ইউএস ডলার।