মঙ্গলবার, ১ জুন, ২০২১ ০০:০০ টা

করোনার টিকায় পোশাক শ্রমিকদের অগ্রাধিকার চায় বিজিএমইএ

নিজস্ব প্রতিবেদক

করোনার টিকায় পোশাক শ্রমিকদের অগ্রাধিকার চায় বিজিএমইএ

মহামারী করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে সরকারের নেওয়া টিকা কর্মসূচিতে দেশের প্রধান রপ্তানি খাত তৈরি পোশাকশিল্পে কর্মরত শ্রকিকদের অগ্রাধিকার চায় বিজিএমইএ। সংগঠনটির সূত্র বলেছে, ৪০ বছরের নিচে সব শ্রমিক ও তাদের পরিবারের সদস্যদের জন্য দ্রুত টিকা প্রদানের লক্ষ্যে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে। যোগাযোগ করা হয়েছে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়েও।

বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, ‘পোশাক কারখানাগুলো করোনামুক্ত এলাকা। শ্রমিকদের মধ্যে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা খুবই কম। এখন পর্যন্ত একজন পোশাকশ্রমিকও করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা যাননি। তবে অনেক মালিক মারা গেছেন। এমন পরিস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে কথা বলেছি যে, পোশাকশ্রমিকদের ফ্রন্টলাইনার হিসেবে বিবেচনায় নিয়ে তাদের ও তাদের পরিবারকে দ্রুত টিকার আওতায় আনা হোক।’

এদিকে পোশাকশ্রমিককরা করোনার শুরু থেকে অভিযোগ করে আসছেন, শ্রমিকদের করোনা পরীক্ষা করানো হচ্ছে না। তবেই এ অভিযোগ মানতে নারাজ বিজিএমইএ সভাপতি। তিনি বলেন, বিজিএমইএর পক্ষ থেকে তিনটি পিসিআর ল্যাব বসানো হয়েছে। প্রতিটি ল্যাবে প্রতিদিন ১ হাজার ৬০০ জনের পরীক্ষা করানো যেত। সেখানে গড়ে ২২৪ জনের পরীক্ষা হয়েছে। আমরা ৫ হাজার শ্রমিকের টেস্ট করিয়েছি, সেখানে ৭৩২ জন করোনা পজিটিভ এসেছে। এদের বয়স ১৮ থেকে ৩৫ বছরের মধ্যে। ৯১ শতাংশ শ্রমিক থাকেন গার্মেন্টসের আশপাশেই। ফলে তাদের গার্মেন্টসে আসতে কোনো যানবাহনে উঠতে হয় না। এ ছাড়া ঈদের আগে সবগুলো গার্মেন্টসে বেতন ও বোনাস পরিশোধ করা হয়েছে। এখন তো আমাদের অর্ডার কমে গেছে। আগামী তিন মাস আমাদের জন্য কঠিন সময়। অনেক বায়ার এ ব্যবসা ছেড়ে চলে গেছেন। ফলে আমরা কঠিন চ্যালেঞ্জের মধ্যে দিন পার করছি।’

অন্যদিকে কভিড মহামারী বিবেচনায় পোশাকশিল্প খাতে ‘ক্ষতি, ক্ষমতা এবং পুনরুদ্ধার : মাঠ জরিপ থেকে প্রাপ্ত ফলাফল’ শীর্ষক গবেষণায় বেসরকারি সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) বলেছে, ৩ লাখ ৫৭ হাজার, যা মোট শ্রমিকের ১৪ শতাংশ, তাদের কেউ কাজ জোটাতে পেরেছেন, কেউ পারেননি। বহু বছর কাজ করেও অনেকেই যথাযথ পাওনা বুঝে পাননি। কিন্তু ২০১৯ সালের ডিসেম্বরের তুলনায় ২০২০ সালের সেপ্টেম্বরে ৫০ শতাংশের বেশি কারখানায় শ্রমিকের সংখ্যা কমেছে। এ পর্যন্ত ৩ লাখ ৫৭ হাজার শ্রমিক কাজ হারিয়েছেন।

এর মধ্যে এক-তৃতীয়াংশ আবারও কাজে ফিরতে পেরেছেন। ৩ হাজার ২১১টি নথিভুক্ত কারখানার মধ্যে ৬১০টি থেকে তথ্য নিয়ে এ গবেষণা চালানো হয়।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর