বৃহস্পতিবার, ৩ জুন, ২০২১ ০০:০০ টা

উপকূলে সুপেয় পানির তীব্র সংকট

নিজস্ব প্রতিবেদক, খুলনা

ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে লবণপানিতে পুকুর ও নলকূপ তলিয়ে যাওয়ায় খুলনার কয়রা, পাইকগাছায় সুপেয় পানির তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। কয়েক হাজার মানুষ মাইলের পর মাইল ছুটেও বিশুদ্ধ পানি পাচ্ছেন না। ভাটার সময় লবণপানি কমলে নলকূপ থেকে পানি উত্তোলন করা হচ্ছে। কিন্তু ওই পানি খেয়ে ডায়রিয়া, চর্মরোগসহ নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে মানুষ। স্কুল শিক্ষক আবুল কালাম আজাদ বলেন, কয়রার মহারাজপুর, দশহালিয়া, গোবিন্দপুর, কালনাসহ বিভিন্ন এলাকায় সুপেয় পানির তীব্র সংকট রয়েছে। নলকূপগুলো লবণপানিতে ডুবে থাকায় তিন-চার মাইল হেঁটে পানি জোগাড় করতে হচ্ছে। মানুষের দুর্ভোগের শেষ নেই। জানা যায়, বাঁধ ভেঙে লবণপানি ছড়িয়ে পড়ায় ১৫০টির বেশি নলকূপ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সেই সঙ্গে অসংখ্য মিষ্টি পানির পুকুর তলিয়ে গেছে। দুর্যোগপূর্ণ এলাকা হওয়ায় সারা বছরই এখানে সুপেয় পানির সংকট থাকে। তার ওপর নতুন এই সংকট তৈরি হওয়ায় বর্তমানে বিশ লিটারের একটি পানির ড্রাম ৫০ থেকে ১০০ টাকায় কিনতে হচ্ছে। স্থানীয়রা জানান, পানি না খেয়ে জীবন কাটানো যায় না, তাই বাধ্য হয়ে বিশুদ্ধ পানি সংগ্রহ করতে হচ্ছে। মহারাজপুর ইউপি চেয়ারম্যান জিএম আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান,  এখনো অনেক এলাকা পানিতে তলিয়ে আছে। ফলে হাঁটু পানি পেরিয়ে দূর-দূরান্ত থেকে পানি সংগ্রহ করতে হচ্ছে। অনেক স্থানে সারাদিন অপেক্ষা করে জোয়ারের পানি কমলে নলকূপ থেকে পানি সংগ্রহ করা হয়। পুকুরের পানি খেয়েও অনেকে জীবন ধারণ করছেন। তিনি এই এলাকায় সুপেয় পানির স্থায়ী ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন। উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল দফতরের সহকারী প্রকৌশলী প্রীতিষ মন্ডল জানান, যেসব এলাকায় পানির সংকট রয়েছে সেখানে ভ্যানে করে পানি সরবরাহ করা হচ্ছে। এ ছাড়া মোবাইল ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্টের মাধ্যমে পুকুরের পানি বিশুদ্ধ করে দেওয়া হচ্ছে। যেখানে ভ্যান পৌঁছায় না সেখানে পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট সরবরাহ করা হচ্ছে।

সর্বশেষ খবর