সোমবার, ৭ জুন, ২০২১ ০০:০০ টা

এনআইডি মন্ত্রণালয়ে ন্যস্ত করা ইসির স্বাধীনতার ওপর নগ্ন হামলা

নাগরিক সংলাপে বক্তারা

নিজস্ব প্রতিবেদক

জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন এনআইডি কার্যক্রম স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ন্যস্ত করলে নির্বাচন কমিশনের স্বাধীনতা খর্ব হবে। সাংবিধানিক সংকট তৈরি হবে। এটি ইসির স্বাধীনতার ওপর নগ্ন হামলা। জাতীয় পরিচয়পত্র নিবন্ধন কার্যক্রম স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ন্যস্ত করার উদ্যোগ আরও পর্যালোচনার অনুরোধ করেছেন বক্তারা। গতকাল ‘সরকার কর্তৃক জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন কার্যক্রম স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ন্যস্ত করার উদ্যোগ ও প্রাসঙ্গিক ভাবনা’ শীর্ষক এক নাগরিক সংলাপে বক্তারা এসব কথা বলেন। ভার্চুয়াল এই নাগরিক সংলাপের আয়োজন করে সুজন। সংলাপে অংশ নিয়ে সাবেক নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম. সাখাওয়াত হোসেন বলেন, সরকারকে এ বিষয়ে আরও বিশদভাবে ভাবতে এবং অবশ্যই নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে আলোচনা করতে হবে। কমিশন থেকে জাতীয় পরিচয়পত্র নিতে চাইলে একটা স্বাধীন প্রতিষ্ঠান গঠন করে সম্পূর্ণ আলাদাভাবে অবকাঠামো তৈরি করে এটা করা উচিত। ভোটার তালিকার সঙ্গে যুক্ত জাতীয় পরিচয়পত্র কার্যক্রম স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের হাতে অর্পণ করা হলে ইসির একটি বৃহৎ অংশ সরকারের নিয়ন্ত্রণে ন্যস্ত হবে। যা নির্বাচন কমিশনের স্বাধীন সত্তা খর্ব হবে। বদিউল আলম মজুমদার বলেন, এটি কমিশনের স্বাধীনতার ওপর নগ্ন হামলা। জাতীয় পরিচয়পত্র এবং ভোটার ডাটাবেজ যদি সরকারের নিয়ন্ত্রণে যায় সরকার বিভিন্ন রকম কারসাজির মাধ্যমে কাউকে ভোটার করতে পারে এবং কাউকে বাদ দিতে পারে। সিনিয়র আইনজীবী শাহদীন মালিক বলেন, বেশ কয়েকদিন বিষয়টি নিয়ে আলাপ-আলোচনা চলছে। কিন্তু সরকারের পক্ষ থেকে স্পষ্ট করে জানানো হয়নি কী উদ্দেশ্যে এটা করা হচ্ছে। অধ্যাপক আসিফ নজরুল বলেন, কমিশনের ওপর আমাদের আস্থা নেই এটা ঠিক কিন্তু জাতীয় পরিচয়পত্র স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে নিয়ে গেলে আরও শঙ্কাজনক ও বিপজ্জনক হবে।

এ সংলাপে আরও অংশ নেন সিনিয়র সাংবাদিক সোহরাব হাসান ও আবু সাঈদ খান, রাজনীতিবিদ রুহিন হোসেন প্রিন্স প্রমুখ। সুজন কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য বিচারপতি জনাব এম এ মতিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন সুজন সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার। প্রবন্ধ পাঠ করে শোনান সুজন কেন্দ্রীয় সমন্বয়কারী দিলীপ কুমার সরকার।

নির্বাচন কমিশন ২০০৭-০৮ সালে ছবিসহ ভোটার তালিকার কাজ শুরু করে। বর্তমানে দেশের ১১ কোটি ১৭ লাখের বেশি নাগরিক ভোটার তালিকাভুক্ত রয়েছে। ২০১০ সালে ইসির অধীনে জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগ একটি আইনগত ও প্রাতিষ্ঠানিক ভিত্তি পায়।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর