বৃহস্পতিবার, ১০ জুন, ২০২১ ০০:০০ টা
এক নজরে

রেলমন্ত্রীকে চিঠি জেলার পাঁচ সংসদ সদস্যের

সুনামগঞ্জে রেললাইন স্থাপন

সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি

শিল্পনগরী ছাতক থেকে সুনামগঞ্জ হয়ে নেত্রকোনার মোহনগঞ্জ পর্যন্ত প্রয়াত রেলমন্ত্রী সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের আমলে করা অ্যালাইমেন্ট অনুযায়ী রেললাইন স্থাপনের সরকারি পরিকল্পনা বাস্তবায়নের দাবি জানিয়ে রেলমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছেন জেলার পাঁচজন সংসদ সদস্য। ওই দিকে রেললাইন স্থাপিত হলে এ অঞ্চলের মানুষের আর্থ-সামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়ন ত্বরান্বিত হবে বলে চিঠিতে উল্লেখ করেন তারা। রেলমন্ত্রীকে মঙ্গলবার পাঠানো চিঠিতে স্বাক্ষর করেছেন সংসদ সদস্য মুবিবুর রহমান মানিক, অ্যাডভোকেট পীর ফজলুর রহমান মিসবাহ, জয়া সেনগুপ্তা, ইঞ্জিনিয়ার মোয়াজ্জেম হোসেন রতন ও অ্যাডভোকেট শামীমা আক্তার খানম। চিঠিতে বলা হয়, ‘১৯৫৪ সালে সিলেট থেকে ছাতক পর্যন্ত রেললাইন স্থাপনের পর থেকে জেলা সদর পর্যন্ত নিয়ে আসার যে দাবি ছাতক, দোয়ারাবাজার ও সদর উপজেলার সাধারণ মানুষ জানিয়ে আসছেন, এর প্রতি অতীতে কোনো সরকার কর্ণপাত করেনি। ২০১১ সালে সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত রেলমন্ত্রীর দায়িত্ব পেলে দাবিটি আরও জোরালো হয়। ২০১২ সালে ছাতকে তাকে দেওয়া এক সংবর্ধনায় ছাতক থেকে সুনামগঞ্জ হয়ে নেত্রকোনা জেলার মোহনগঞ্জ পর্যন্ত রেললাইন স্থাপনের ঘোষণা দেন তিনি।’ চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, ‘মন্ত্রীর ঘোষণার পর কয়েক দফা প্রতিশ্রুত এলাকা সরেজমিন পরিদর্শন ও সমীক্ষা চালায় রেল বিভাগ। তাদের সমীক্ষামতে ছাতক থেকে সুনামগঞ্জ পর্যন্ত ২২ কিলোমিটার রেললাইন স্থাপনের অ্যালাইমেন্টে তৈরি হয়। ইতিমধ্যে সুরঞ্জিত সেনের মৃত্যু হলে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান ছাতক থেকে সুনামগঞ্জ পর্যন্ত রেললাইন স্থাপনে সরকারের প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে তার আন্তরিক প্রয়াসের কথা বিভিন্ন সভা-সমাবেশে পুনর্ব্যক্ত করেন।’ জেলার পাঁচজন সংসদ সদস্য বিস্ময় প্রকাশ করে চিঠিতে লেখেন, ‘মানুষ যখন বর্ণিত রেলপথ বাস্তবায়নের জন্য অপেক্ষার প্রহর গুনছিলেন, ঠিক তখন বিভিন্ন মাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হয় যে, ছাতক-সুনামগঞ্জের পরিবর্তে অন্য একটি অ্যালাইমেন্ট অনুযায়ী রেললাইন স্থাপনের প্রচেষ্টা চলছে। এমন খবরে এলাকাবাসীর সঙ্গে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি হিসেবে আমরাও বিস্মিত হয়েছি।’ জনসাধারণের দীর্ঘদিনের দাবিটি আমলে নিয়ে ছাতক থেকে দোয়ারাবাজার হয়ে সুনামগঞ্জ পর্যন্ত রেললাইন স্থাপনের জন্য রেলমন্ত্রীর কাছে জোর দাবি জানান জেলার পাঁচজন সংসদ সদস্য। দাবির যৌক্তিকতা উপস্থাপন করে চিঠিতে তারা লেখেন, ‘ছাতক-সুনামগঞ্জ অ্যালাইমেন্ট অনুযায়ী রেললাইন নির্মাণে দূরত্ব মাত্র ২২ কিলোমিটার। ওই পথে দু-একটি খাল ছাড়া কোনো নদী নেই। রেললাইনটি সুরমা নদী থেকে তিন-চার কিলোমিটার দক্ষিণে দেখার হাওরের উত্তর পাড়ে নির্মিত হবে। ফলে হাওরের জীববৈচিত্র্য বিনষ্ট কিংবা নদীভাঙনে পড়ার আশঙ্কা নেই। উঁচু জমি হওয়ায় নির্মাণব্যয় কম হওয়ার পাশাপাশি এতে বেশিসংখ্যক মানুষ উপকৃত হবেন। এ ছাড়া ছাতকে একটি অর্থনৈতিক জোন প্রতিষ্ঠার নীতিগত সরকারি সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সেটি আরও ফলপ্রসূ হবে। জেলা সদরসহ দেশের অপরাপর স্থানের সঙ্গে ছাতকের সহজ যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে উঠবে।

সর্বশেষ খবর