শনিবার, ১২ জুন, ২০২১ ০০:০০ টা

আখাউড়ায় গাছে গাছে বিদেশি আম

মোশাররফ হোসেন বেলাল, ব্রাহ্মণবাড়িয়া

আখাউড়ায় গাছে গাছে বিদেশি আম

শখের বশে পৈতৃক বাড়িতে বিদেশি জাতের ফল ও বাগান করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া পৌর শহরের তারাগন এলাকার ব্যবসায়ী মো. জুয়েল খান। বাগানে গৌরমতি, আম্রপালি, তাইওয়ান কিং, কাটিমন, কিউজাই, ড্রাগন, গোরমতি, বানানা ম্যাংঙ্গো, রামবুটান ও বারো মাসি আম, টমেটো শোভা পাচ্ছে। পেশাগত কাজের ফাঁকে ফাঁকে তিনি এ ফলের বাগান গড়ে তোলেন। বর্তমানে তার বাগানে বিদেশি জাতের অর্ধ শতাধিক আম গাছ ও ১১২টি ড্রাগন গাছ রয়েছে। তাছাড়া ধনিয়া পাতা, টমেটোসহ নানা প্রজাতির সবজির আবাদ করা হয়। বাগানে থাকা এক একটি আম গাছ তিন থেকে চার হাত উচ্চতায় রয়েছে। গাছে গাছে ঝুলছে নানা রকমের বিদেশি আম। আমের ভারে যেন ডালগুলো নুইয়ে পড়ছে। তাছাড়া এই বাগান দেখতে প্রতিদিন বিভিন্ন স্থান থেকে লোকজন ভিড় করছে। প্রথমবারের মতো বিদেশি জাতের ফল বাগান করে তিনি যেন এলাকায় চমক সৃষ্টি করেছেন। বাগান মালিক জুয়েল খান জানান, ছোট বেলা থেকেই কৃষি কাজের প্রতি রয়েছে তার যথেষ্ট আগ্রহ। চার বছর আগে বাড়িতে দেড় বিঘা জমিতে নুরখান অর্গানিক এগ্রো লিমিটেড নামে একটি ফল বাগান গড়ে তুলেন।

জুয়েল আরও বলেন, বাগানে ফলন ভালো হয়েছে। মূলত গাছের ফলন নির্ভর করে যতেœর ওপর। পোকামাকড় থেকে রক্ষা পেতে সঠিক সময় কীটনাশক ব্যবহার করা প্রয়োজন। একটি সময় ছিল শুধু চাষিরাই নানা প্রজাতির ফল চাষ করতেন। এখন শুধু চাষিই নন শিক্ষার্থীদের পাশপাশি নানা বয়সের লোকজন বেশ আগ্রহ নিয়ে বাড়িতে নানা রকমের ফল চাষ করে বেশ সাফল্য অর্জন করেছেন। বাণিজ্যিকভাবে ফল চাষ করতে সেই চেষ্টা করছেন। এই দৃষ্টিনন্দন বাগান দেখতে বিভিন্ন স্থান থেকে লোকজন ভিড় করছেন।

কলেজপাড়ার মো. আলমগীর হোসেন বলেন, এই রকম বিদেশি জাতের আম বড় বড় হাট বাজারে দেখা যেত। এখন এলাকায় এসব চাষ হচ্ছে তাই দেখতে আসা।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শাহানা বেগম বলেন, শৌখিন মানুষ ছাড়া মূলত দেশি-বিদেশি নানা জাতের ফল ও সবজি চাষ করা সম্ভব নয়। জুয়েল খান তাদের মধ্যে একজন। তিনি নানা প্রতিকূলতাকে উপেক্ষা করে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে বিদেশি জাতের নানা রকমের ফল চারা সংগ্রহ করে এ বাগান গড়ে তুলেছেন।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর