রবিবার, ১৩ জুন, ২০২১ ০০:০০ টা

চিকিৎসাসেবায় ইউটার্ন খুলনায়

সামছুজ্জামান শাহীন, খুলনা

করোনা রোগীদের চিকিৎসা সেবা দেওয়ার জন্য খুলনা সরকারি জেনারেল হাসপাতালের চতুর্থ তলায় তৈরি করা হয়েছিল ৪২ শয্যার করোনা ইউনিট। মুমূর্ষু রোগীর প্রয়োজনীয় লিকুইড অক্সিজেন প্লান্টও তৈরি করা হয় এখানে। এতসব ব্যবস্থার পরও ইউনিটটিতে যাওয়ার আলাদা কোনো সিঁড়ি না থাকায় হাসপাতালে অন্য রোগীর সংক্রমণের ভয়ে তা চালু করা হয়নি। গত মে মাসে ইউনিটের কার্যক্রম খুলনা ডেডিকেটেড হাসপাতালের সঙ্গে সংযুক্ত করা হয়। এদিকে সম্প্রতি খুলনায় করোনা সংক্রমণ ও মৃত্যু বাড়তে থাকায় উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন চিকিৎসকরা। ১০০ শয্যার ডেডিকেটেড হাসপাতালে প্রতিদিন রোগী ভর্তি থাকছে ১৩০-১৪০ জন। স্থান সংকুলান না হওয়ায় ফেরত যাচ্ছে রোগী। ফলে চিকিৎসা সুবিধা বাড়াতে এবার সেই জেনারেল হাসপাতালকে করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালে রূপান্তরের সিদ্ধান্ত নিয়েছে করোনাভাইরাস প্রতিরোধ কমিটি। এর ফলে করোনার সব রোগী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হবে। আর এ হাসপাতালের সাধারণ রোগীদের খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সরিয়ে নেওয়া হবে। খুলনায় করোনা চিকিৎসায় সমন্বয়কারী ডা. মেহেদী নেওয়াজ জানান, একই সিঁড়ি দিয়ে রোগী ওঠা-নামা করলে জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি থাকা অন্য রোগীর মধ্যে করোনা ছড়িয়ে পড়তে পারে, এ আশঙ্কায় ইউনিটটি চালু করা হয়নি। কিন্তু করোনা রোগীর চাপ বাড়তে থাকায় ওই হাসপাতালকেই এখন ডেডিকেটেড হাসপাতালে রূপান্তরিত করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। সেক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় জনবল ও লজিস্টিক সাপোর্টের জন্য স্বাস্থ্য অধিদফতর ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে। জানা যায়, ২০২০ সালের মাঝামাঝি করোনা সংক্রমণ বাড়তে থাকলে ভোগান্তি কমাতে জেনারেল হাসপাতালে আইসিইউ শয্যাসহ ৪২ শয্যার করোনা ইউনিট চালুর সিদ্ধান্ত নেয় স্বাস্থ্যবিভাগ। প্রায় এক বছর ধরে সেখানে লিকুইড অক্সিজেন প্ল্যান্ট স্থাপন, শয্যা প্রস্তুত ও আইসিইউ ইউনিটে চিকিৎসা সরঞ্জাম স্থাপন করা হয়। গত এপ্রিলের শেষ দিকে করোনা ইউনিটটি যখন প্রায় প্রস্তুত, তখন সেখানে যাতায়াতের বিষয়টি মাথায় আসে। সেখানে যাওয়ার জন্য আলাদা পথ না থাকায় ইউনিটটি শেষ পর্যন্ত চালু করা হয়নি। এদিকে খুলনাসহ সীমান্তবর্তী এলাকায় সংক্রমণ বাড়লেও প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সেবা বৃদ্ধিতে কোনো উদ্যোগ না নেওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সিটি মেয়র তালুকদার আবদুল খালেক।

 তিনি বলেন, এ মুহূর্তে খুলনায় সংক্রমণ সব থেকে বেশি। কিন্তু সরকারের স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা ঢাকা নিয়েই ব্যস্ত। খুলনায় রোগীরা কীভাবে সেবা পাবে, কী কী আমাদের অসুবিধা এ বিষয় নিয়ে তারা কথা বলেন না।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর