সোমবার, ১৪ জুন, ২০২১ ০০:০০ টা

করোনায় ১ লাখ রোগী যেতে পারেননি ভারতে

নিজস্ব প্রতিবেদক, রংপুর

করোনায় ১ লাখ রোগী যেতে পারেননি ভারতে

রংপুর নগরীর মাহিগঞ্জের ভারতীয় ভিসা সেন্টার থেকে প্রতিদিন আড়াইশর বেশি ভিসা দেওয়া হতো। যার অর্ধেকই ছিল চিকিৎসা ভিসা। গত বছরের মার্চে করোনা সংক্রমণ শুরু হওয়ার পরে ভারত ভিসা প্রদান বন্ধ করে দেওয়ায় এই অঞ্চল থেকে কমপক্ষে ১ লাখ রোগী চিকিৎসার জন্য ভারত যেতে পারেনি। এসব রোগী দেশেও প্রয়োজনীয় চিকিৎসা পাচ্ছেন না। অনেকে চিকিৎসার অভাবে মারাও যাচ্ছেন। এ ছাড়া ভিসা প্রদান বন্ধ থাকায় রংপুরের অর্ধশত ভিসা প্রসেসিং সেন্টারের মালিক-কর্মচারীদের দুর্দিন যাচ্ছে।

মাহিগঞ্জ এলাকার বাবলু নাগের হার্টের সমস্যা নিয়ে রংপুর মেডিকেলে ভর্তি হয়েছিলেন একাধিকবার। চিকিৎসক রেফার্ড করেছিলেন ঢাকায়। কিন্তু তিনি ঢাকা না গিয়ে কলকাতায় চিকিৎসা করান। পুনরায় চিকিৎসার জন্য তার কলকাতায় যাওয়া প্রয়োজন হলেও ভিসা বন্ধ থাকায় তিনি আর যেতে পারেননি। তার মতো অনেকেই ভিসা বন্ধ থাকায় চিকিৎসার জন্য ভারত যেতে পারছেন না। করোনার কারণে রংপুরের অনেক বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক নিয়মিত রোগী না দেখায় ভারতে চিকিৎসাধীন রোগীরা দেশেও চিকিৎসা সেবা পাচ্ছেন না। বাধ্য হয়ে ভারতীয় প্রেসক্রিপশনের সঙ্গে মিল রেখে বাংলাদেশি ওষুধ সেবন করছেন।

রংপুর ভিসা সেন্টার সূত্রে জানা গেছে, রংপুর সেন্টারে প্রতিদিন কমপক্ষে ২৫০ জনকে ভারতে যাওয়ার ভিসা দেওয়া হয়। এর মধ্যে চিকিৎসা ভিসাই ৫০ শতাংশ। প্রতিদিন গড়ে এক থেকে দেড়শ জন চিকিৎসা ভিসা নিয়ে ভারতের কলকাতা, দিল্লি, চেন্নাই, ভেলর যেতেন। ভারতীয় ভিসা সেন্টারের তথ্য মতে প্রতি মাসে কম পক্ষে ৬ হাজার মানুষ রংপুর ভিসা সেন্টার থেকে ভিসা নিয়ে ভারতে চিকিৎসা করাতে যেতেন।

মাহতাব ভিসা সেন্টারের স্বত্বাধিকারী মাহতাব হোসেন ও মাহাবুব আইটি সেন্টারের মালিক মাহাবুব হোসেন জানান, করোনা শুরুর পর থেকেই ভিসা বন্ধ হয়ে যায়। মাস খানেক আগে বাংলাদেশে আটকে পড়া ভারতীয়দের ভিসা দেওয়া হয়েছিল। রবিবার থেকে আবার ভিসা দেওয়া বন্ধ করা হয়েছে। ফলে মাহিগঞ্জ ৪৮টি ভিসা প্রসেসিং সেন্টার বন্ধ রয়েছে। রংপুর থেকে ভিসা সেন্টার চালুর পর ভিসা পাওয়ার অর্ধেক মানুষই চিকিৎসা করাতে যেত। ভিসা দেওয়া বন্ধ থাকায় রংপুর অঞ্চলের এক বছরে কমপক্ষে এক লাখের বেশি রোগী ভারতীয় চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত হয়েছে বলে তারা জানান।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর