সোমবার, ১৪ জুন, ২০২১ ০০:০০ টা

জাহাজ নোঙরে ৭০ বছরের রেকর্ড ভাঙল মোংলা বন্দর

শেখ আহসানুল করিম, বাগেরহাট

দেশের দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক সমুদ্রবন্দর মোংলায় ৭০ বছরের মধ্যে বাণিজ্যিক জাহাজ নোঙরের সব রেকর্ড ভেঙে গেছে। করোনা মহামারীর মধ্যেও চলতি অর্থবছরের প্রায় এক মাস বাকি থাকতেই অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে ৯১৩টি বাণিজ্যিক জাহাজ নোঙর করেছে এ বন্দরে। আর মাত্র ৮৭টি জাহাজ ভিড়লেই ১ হাজার জাহাজ নোঙরের নতুন মাইলফলক স্পর্শ করবে মোংলা বন্দর। এ বন্দরে ৭০ বছরের মধ্যে বাণিজ্যিক জাহাজ আগমনের সব রেকর্ড ভাঙার পাশাপাশি পণ্য ওঠানামা ও রাজস্ব আদায়েও রেকর্ড সৃষ্টি হয়েছে। মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। এটি বিশে^র একমাত্র সমুদ্রবন্দর, যে বন্দরের সঙ্গে কোনো রেল যোগাযোগ নেই। এমনকি রাজধানী ঢাকা থেকে সড়কপথে এ বন্দরটি ব্যবহার করতে পদ্মা নদী প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে। উঁচু কনটেইনারগুলো লরিতে করে ফেরি পারাপারে ঝুঁকি নিতে চান না আমদানি-রপ্তানিকারক ব্যবসায়ীরা। এ অবস্থায় মোংলা বন্দর ব্যবহার করতে উৎসাহ হারিয়ে ফেলেন তারা। বঙ্গোপসাগর থেকে ৭৫ নটিক্যাল মাইল দূরে বাগেরহাট জেলার মোংলায় পশুর নদীর তীরে এ বন্দর অবস্থিত। প্রতিষ্ঠার ৭০ বছরের সব রেকর্ড ভেঙে ৯১৩টি বাণিজ্যিক জাহাজ ভিড়েছে এ বন্দরে। অথচ এখনো চলতি অর্থবছরের এক মাস বাকি। গত অর্থবছর বন্দরে জাহাজ ভিড়েছিল ৯১২টি। ১২.৬৫ লাখ মেট্রিক টন পণ্যসহ কনটেইনার হ্যান্ডলিং হয়েছে এ বন্দরে ৩৯ হাজার ৭৭৭ টিইউস। সব মিলিয়ে চলতি অর্থবছর খালাস হবে ৩ কোটি ৬৩ লাখ মেট্রিক টন। রাজস্ব আয় হবে ৩৪০ কোটি টাকা, এমনটাই আশা করছে বন্দর কর্তৃপক্ষ। মোংলা বন্দরের বোর্ড ও জনসংযোগ বিভাগের উপসচিব মো. মাকরুজ্জামান বলেন, ‘বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার আগের মৃতপ্রায় মোংলা বন্দর এখন শুধু লাভজনকই নয়, প্রতি বছর সৃষ্টি করছে নতুন নতুন রেকর্ড।

চলতি অর্থবছর মোংলা বন্দরে ১ হাজার জাহাজ ভিড়বে। চলতি অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে মোংলা বন্দরে জাহাজ ভিড়েছে ৫১৯টি। মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ মুসা বলেন, মোংলাকে আধুনিক বন্দরে রূপান্তর করতে আউটার বার ও বন্দরের পশুর চ্যানেলে ড্রেজিং, ওয়াটার টিট্রমেন্ট প্লান্ট স্থাপন, কনটেইনার ইয়ার্ড সংস্কার ও ভ্যাসেল ট্রাফিক ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেমের উন্নয়নসহ কয়েকটি প্রকল্প বাস্তবায়িত হচ্ছে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর