সোমবার, ১৪ জুন, ২০২১ ০০:০০ টা

কমিউনিটি সেন্টার বন্ধে মাসে শত কোটি টাকা ক্ষতি

নিজস্ব প্রতিবেদক

লকডাউনে বন্ধ থাকা সারা দেশে প্রায় ৪ হাজার কমিউনিটি সেন্টারে প্রতি মাসে লোকসান হচ্ছে শত কোটি টাকা। তাই, স্বাস্থ্যবিধি মেনে অর্ধেক আসন খালি রেখে  সেন্টারগুলো খুলে দেওয়ার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ কমিউনিটি সেন্টার, কনভেনশন হল ও ক্যাটারিং অ্যাসোসিয়েশন (বিসিসিএ)। গতকাল রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটির পক্ষ  থেকে এ দাবি জানানো হয়।

সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের সভাপতি আলহাজ শাহ জাকির হোসেন বলেন, বর্তমানে করোনা পরিস্থিতিতে সামাজিক অনুষ্ঠান বন্ধ থাকায় প্রতিমাসে প্রায় শত কোটি টাকা লোকসানের সঙ্গে ডেকোরেটরের ক্ষতির পরিমাণ আরও প্রায় ১৫ থেকে ২০ কোটি টাকা। কমিউনিটি  সেন্টার, ডেকোরেটর, ইভেন্ট ম্যানেজমেন্টসহ অন্যান্য খাতের আয়হীন প্রায় ৫ লাখ মানুষ মানবেতর জীবন যাপন করছে। তাদের পরিবারে নেমে এসেছে বিপর্যয়কর পরিস্থিতি। অনেকের খাবার কেনার মতো টাকাও নেই। সব মিলিয়ে এই খাতে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে ২০ লাখের মতো মানুষ জড়িত রয়েছে। তিনি বলেন, অনুষ্ঠানের আয়োজন না থাকায় জীবিকার অনিশ্চয়তায় আছি আমরা। যারা ফটোগ্রাফি, সাজসজ্জা, লজিস্টিক  সেবা দেয়, ফুল সরবরাহ করে, বোর্ড মিস্ত্রি, ডেকোরেশন ও ক্লিনিং কাজসহ বিভিন্ন কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করতেন, তারা সবাই এখন বেকার হয়ে পড়েছেন। মহাবিপাকে পড়েছেন কমিউনিটি সেন্টার ব্যবসায়ীরা। বন্ধ হয়ে গেছে তাদের আয় রোজগার।

তিনি আরও বলেন, ঢাকা শহরের প্রতিটি এলাকায় সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগে গড়ে উঠেছে কমিউনিটি সেন্টার। এসব কমিউনিটি সেন্টারে পানচিনি, বাগদান, গায়ে হলুদ, বিবাহ, বিবাহোত্তর সংবর্ধনা, জন্মদিনসহ নানা অনুষ্ঠান হয়ে থাকে। এ সব অনুষ্ঠানে অন্দর সজ্জাসহ অনেক কাজ কমিউনিটি সেন্টার কর্তৃপক্ষ বা তাদের মনোনীত লোক করে থাকে। রাজধানীতে সরকারি-বেসরকারি কমিউনিটি  সেন্টার ও কনভেনশন সেন্টারের সংখ্যা ছোট-বড় মিলিয়ে প্রায় ৪০০। প্রায় ২ লাখ মানুষের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা রয়েছে। কমিউনিটি সেন্টারগুলো বন্ধ থাকার পরও ঘরভাড়া ইনকাম ট্যাক্স, হোল্ডিং ট্যাক্স, ভ্যাট, কর্মচারীর  বেতন, বিদ্যুৎ বিল, ওয়াসা বিল, গ্যাস বিল ইত্যাদি পরিশোধ করতে হচ্ছে। একেকটি কমিউনিটি সেন্টার কমপক্ষে ৫ হাজার থেকে ৩০ হাজার বর্গফুট জায়গা নিয়ে স্থাপিত। যেখানে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ১০০ বা ২০০ লোকের অনুষ্ঠান করা মোটেই অসম্ভব নয়। তাই মানবিক কারণে সরকারি স্বাস্থ্যবিধি মেনে স্বল্প পরিসরে অনুষ্ঠান করার সুযোগ দেওয়ার জন্য বিনীত অনুরোধ করছি।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ কমিউনিটি সেন্টার কনভেনশন হল ও ক্যাটারিং অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মনির হোসেন, চট্টগ্রাম কমিউনিটি সেন্টার মালিক সমিতির সভাপতি হাজী  মো. সাহাব উদ্দিন প্রমুখ।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর