শুক্রবার, ১৮ জুন, ২০২১ ০০:০০ টা

বছরে নষ্ট ৫০ কোটি টাকার আম

সংরক্ষণের অভাবে রংপুরে ক্ষতিগ্রস্ত আমচাষিরা

নজরুল মৃধা, রংপুর

বছরে নষ্ট ৫০ কোটি টাকার আম

সঠিকভাবে সংরক্ষণের অভাবে প্রতি বছর ৫০ কোটি টাকার বেশি আম নষ্ট হচ্ছে রংপুরে। এ ছাড়া কাঁঠাল, লিচু, আনারস, পেঁপে ইত্যাদি ফল গড়ে মোট উৎপাদনের ২০ থেকে ৪০ শতাংশ নষ্ট হচ্ছে। দীর্ঘদিন থেকে রংপুরে একটি ফল সংরক্ষণাগার স্থাপনের দাবি উঠলেও কোনো সরকারই বিষয়টি আমলে নেয়নি।

রংপুর কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, এবার রংপুর জেলায় সাড়ে ৩ হাজার হেক্টরের বেশি জমিতে আমের ফলন হয়েছে। এর মধ্যে হাঁড়িভাঙার ফলন হয়েছে দেড় হাজার হেক্টরের ওপর। প্রতি হেক্টরে ফলন ধরা হয়েছে গড়ে ১০ মেট্রিকটন। সেই হিসেবে এবার আমের উৎপাদন আশা করা হচ্ছে ৩৫ হাজার মিট্রিকটন অর্থাৎ ৩৫ লাখ কেজি। প্রতি কেজি ৫০ টাকা দরে বিক্রি হলে ১৭৫ কোটি টাকার আম বিক্রি হওয়ার কথা। কিন্তু সঠিকভাবে আম সংরক্ষণ করতে না পারায় প্রতি বছর আমের ২৫ থেকে ২৭ শতাংশ নষ্ট হয়ে যায়। যার বাজারমূল্য ৫০ কোটি টাকার ওপর। 

এ ছাড়া কাঁঠাল ৪০ থেকে ৪৩ শতাংশ, কলা ২০ থেকে ২৪ শতাংশ, লিচু ২০ থেকে ২৪ শতাংশ, আনারস ৪০ থেকে ৪৩ শতাংশ ও পেঁপে ২৫ থেকে ৩৯ শতাংশ সঠিকভাবে সংরক্ষণের অভাবে নষ্ট হয় প্রতি বছর।  

হাঁড়িভাঙা আমের ফলন বেশি হলেও ফজলি, কেরোয়া, এছাহাক তেলি, ছাইবুদ্দিন, আশ্বিনি, সাদা নেংড়া, কালা নেংড়া, কলিকাতা নেংড়া, মিশ্রিভোগ, গোপালভোগ, আম্রপলি, সাদা রচি, চোচা, আঁটিসহ হরেক প্রজাতির আম রয়েছে। তবে হাঁড়িভাঙা আমের চাহিদাই বেশি। একটি হাঁড়িভাঙা আমের ওজন ৪০০ গ্রাম থেকে ৫০০ গ্রাম পর্যন্ত হয়ে থাকে।

কৃষি বিভাগের ঢাকা খামারবাড়ির অতিরিক্ত সহকারী পরিচালক আবু সায়েম বলেন, মৌসুমের সময় আমাদের দেশের অনেক ফল ও সবজি সংরক্ষণের অভাবে নষ্ট হয়ে যায়। মৌসুমে অধিক ফল ও সবজি উৎপাদনের ফলে কৃষকরা অনেক সময় ন্যায্য দাম থেকে বঞ্চিত হয়।

 

সর্বশেষ খবর