রবিবার, ২০ জুন, ২০২১ ০০:০০ টা
হাই কোর্টের রুল

মুক্তাগাছা উপজেলা চেয়ারম্যানকে বরখাস্তের আদেশ কেন অবৈধ নয়

নিজস্ব প্রতিবেদক

ময়মনসিংহের মুক্তাগাছা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদ থেকে মো. আবদুল হাই আকন্দকে বরখাস্ত করে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের জারি করা আদেশ কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছে হাই কোর্ট। গত ৭ জুন বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি সরদার মো. রাশেদ জাহাঙ্গীরের সমন্বয়ে গঠিত হাই কোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করে। তিন সপ্তাহের মধ্যে বিবাদীদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। সম্প্রতি আদেশের সত্যায়িত অনুলিপি বাংলাদেশ প্রতিদিনের হাতে আসে। রিটে বিবাদীরা হলেন- স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের সচিব, আইন মন্ত্রণালয়ের সচিব, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়েল উপসচিব (উপজেলা-২), বিভাগীয় কমিশনার ময়মনসিংহ, অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (সাধারণ) ময়মনসিংহ, ময়মনসিংহের জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাচন অফিস, মুক্তাগাছা। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মোহাম্মদ আরশাদুর রউফ এবং রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অরবিন্দ কুমার রায়।

আদেশের বিষয়ে আরশাদুর রউফ বলেন, হাই কোর্ট রুল জারি করেছে। রুলে বরখাস্তের আদেশ কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়েছে। পাশাপাশি উপজেলা পরিষদ আইনের ১৩ ধারাকে সংবিধানের সঙ্গে কেন সাংঘর্ষিক ঘোষণা করা হবে না, তাও জানতে চেয়েছে আদালত।

এর আগে গত ১৩ এপ্রিল আবদুল হাই আকন্দকে বরখাস্ত করে প্রজ্ঞাপন জারি করে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগ। এ বিষয়ে রিটকারী মুক্তাগাছা উপজেলা পরিষদের বরখাস্তকৃত চেয়ারম্যান মো. আবদুল হাই আকন্দ বলেন, অবৈধভাবে আমাকে বরখাস্ত করা হয়েছে। প্রজ্ঞাপনে দুটি অভিযোগের কথা বলা হয়েছে যার কোনোটিরই ভিত্তি নেই। একটি হচ্ছে কর্মকর্তাদের সঙ্গে অশোভন আচরণ এবং অন্যটি ইউনিয়ন চেয়ারম্যানদের অনাস্থা। তিনি বলেন, স্থানীয় সরকার আইনের কোথাও অশোভন আচণের কথা উল্লেখ নেই। সেখানে বলা হয়েছে অসদাচরণের কথা এবং কোন কোন বিষয় অসদাচরণ হবে তাও উল্লেখ আছে আইনে। অনাস্থার বিষয়ে তিনি বলেন, এ অনাস্থার বিষয়টি একটি নিষ্পত্তি হওয়া বিষয়। অনস্থার প্রস্তাবের ওপর একটি তদন্ত হয়েছিল। তদন্তে যে অভিযোগে অনাস্থা প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে তদন্তে তার সত্যতা না পাওয়ায় বিষয়টি নথিভুক্ত করা হয়।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর