খুলনা বিভাগে কোনোভাবেই থামছে না মৃত্যুর মিছিল। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে ২৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে খুলনা জেলায় নয়জন, কুষ্টিয়ায় পাঁচজন, যশোরে চারজন, বাগেরহাটে চারজন, নড়াইলে তিনজন ও মেহেরপুরে দুজন মারা গেছেন।
এদিকে করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে খুলনা জেলায় এক সপ্তাহের লকডাউন শুরু হয়েছে। লকডাউনের প্রথম দিনে গতকাল নগরীতে যানবাহন চলাচল তুলনামূলক কম দেখা গেছে। সকাল থেকে নগরীতে পুলিশের তৎপরতা ছিল চোখে পড়ার মতো। ডাকবাংলা, বয়রা, শিববাড়ি, কেডিএ এভিনিউ, রূপসা স্ট্যান্ড মোড়, মজিদ সরণিসহ বিভিন্ন সড়কে বাঁশ দিয়ে আটকে চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। তারপরও নানা অজুুহাতে পথে নামছে মানুষ। সড়কে ব্যক্তিগত অসংখ্য যানবাহন চলাচল করতে দেখা গেছে।
মোটরসাইকেল, প্রাইভেটকার ও বাইসাইকেলে অফিসগামী মানুষ যাতায়াত করেছে। পাড়ামহল্লায় চায়ের দোকান, হোটেল খোলা ও গলিপথে অটোরিক্সা চলাচল করছে। যানবাহনের অভাবে গাদাগাদি করে রিক্সাভ্যানে অনেককে গন্তব্যে যেতে দেখা গেছে। সেখানে মাস্ক ব্যবহার বা শারীরিক দূরত্ব মানছে না কেউ। তবে দূরপাল্লার গণপরিবহন বন্ধ রয়েছে। নিউমার্কেট, শিববাড়ি, সোনাডাঙ্গা, ময়লাপোতা ও শেখপাড়া এলাকায় সব ধরনের দোকানপাট বন্ধ রয়েছে। লকডাউন পালনে বাধ্য করতে টহল দিচ্ছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। স্বাস্থ্যবিধি না মানায় ভ্রাম্যমাণ আদালতে ১৭ জনকে স্বল্পমেয়াদে সাজা দেওয়া হয়েছে এবং ৪০ হাজার ৫০০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে।উল্লেখ্য, গত ১৯ জুন জেলা করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধ ও সার্বিক ব্যবস্থাপনা কমিটির সভায় ২২ জুন থেকে ২৮ জুন পর্যন্ত বিধিনিষেধ আরোপ এবং লকডাউন ঘোষণা করা হয়।