দেশ ও মানুষের কল্যাণে সামনের দিকে এগিয়ে চলা বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান মানুষের জীবনযাত্রার মানোন্নয়নের লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠা করেন বসুন্ধরা ফাউন্ডেশন। এ ফাউন্ডেশন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার দরিদ্র ও সুবিধাবঞ্চিত লোকদের মাঝে ২০০৫ সাল থেকে সুদ ও সার্ভিস চার্জমুক্ত ঋণ বিতরণ কার্যক্রম শুরু করে। বর্তমানে বাঞ্ছারামপুরের সীমানা পেরিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অপর উপজেলা নবীনগর এবং কুমিল্লা জেলার হোমনায় এ কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে। সারা বিশ্বে মহামারী করোনা ছড়িয়ে পড়ায় বাংলাদেশও আক্রান্ত হয়। বিরূপ প্রভাব পড়ে দেশের অর্থনীতিতে। এ অবস্থায়ও বসুন্ধরা ফাউন্ডেশন স্বাস্থ্যবিধি মেনে ঋণ বিতরণ কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে বাঞ্ছারামপুর, নবীনগর এবং হোমনায়। এ পর্যন্ত ২০ হাজার ৪৫১ জনকে অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী করতে সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বসুন্ধরা গ্রুপের সেবামূলক প্রতিষ্ঠান বসুন্ধরা ফাউন্ডেশন। বর্তমানে বাঞ্ছারামপুর উপজেলার একটি পৌরসভা ও ১৩টি ইউনিয়নের ১১৮টি গ্রামের মধ্যে ৮০টি গ্রামে ঋণ বিতরণ কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। পর্যায়ক্রমে প্রতিটি গ্রামে এ সুবিধা পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে কাজ চলছে। উপকারভোগীদের থেকে আমানত বা সঞ্চয় নেওয়া হয় না। ঋণ বিতরণের তারিখ থেকে তিন মাস পর্যন্ত আদায় করা হয় না ঋণের কিস্তি। গত এক মাসে চার কর্ম দিবসে ২৫৭তম ঋণ বিতরণ কার্যক্রম সম্পন্ন করা হয়। ৪২৯ জনের মধ্যে নগদ ৪০ লাখ টাকা বিতরণ করা হয়। এতে নতুন ১১৬ জন। প্রত্যেকে ৭ হাজার ৫০০ টাকা এবং পুরাতন ৩১৩ জন ১০ হাজার টাকা করে পায়। এ ঋণ বিতরণ কার্যক্রমে উপস্থিত ছিলেন বসুন্ধরা ফাউন্ডেশনের ডিজিএম মো. মাইমুন কবির, বসুন্ধরা গ্রুপ ল্যান্ডের উপ-প্রধান প্রকৌশলী মো. শফিকুল ইসলাম, বসুন্ধরা ফাউন্ডেশনের ম্যানেজার মো. মোশারফ হোসেন, জুনিয়র অফিসার মো. আনোয়ার হোসেন এবং মো. শাহ-জাহান মিয়া প্রমুখ।