বৃহস্পতিবার, ২৪ জুন, ২০২১ ০০:০০ টা

নূর মোহাম্মদ এমপির বিরুদ্ধে দলীয় নির্দেশনা অমান্যের অভিযোগ

কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি

কেন্দ্রীয় নির্দেশনা অমান্য করে সাংগঠনিক কার্যক্রম চালানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে কিশোরগঞ্জ-২ (কটিয়াদী-পাকুন্দিয়া) আসনের সংসদ সদস্য নূর মোহাম্মদের বিরুদ্ধে। নির্বাচনী এলাকার পাকুন্দিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক এ এফ এম ওবায়দুল্লাহ দল থেকে পদত্যাগ করায় আহ্বায়ক কমিটি বিলুপ্ত করা হয়। ফলে সাংগঠনিকভাবে কোনো কার্যক্রম পরিচালনা করা যাচ্ছে না। এ উপজেলায় কোনো ইউনিয়নে কমিটি গঠন অথবা কমিটি না ভাঙতে জেলা আওয়ামী লীগকে নির্দেশনা দেন বিভাগীয় দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম। জেলা আওয়ামী লীগ মির্জা আজমের নির্দেশনা পৌঁছে দেন স্থানীয় এমপিকে। কিন্তু দলীয় নির্দেশনা উপেক্ষা করে সংসদ সদস্য নূর মোহাম্মদ বিভিন্ন ইউনিয়নে সম্মেলন ও সাংগঠনিক কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন। গত মঙ্গলবার নিজে উপস্থিত থেকে সুখিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সম্মেলন করেছেন সংসদ সদস্য নূর মোহাম্মদ। আরও কয়েকটি ইউনিয়ন কমিটির সম্মেলনের তারিখও নির্ধারণ করা হয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে গত ২১ জুন লিখিতভাবে সংসদ সদস্য নূর মোহাম্মদকে সতর্ক করা হয় জেলা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে।

জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা কামরুল আহসান শাহজাহান ও সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা এম এ আফজল স্বাক্ষরিত চিঠিতে বলা হয়েছে, ‘পাকুন্দিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট এ এফ এম ওবায়দুল্লাহ গত বছরের ২০ সেপ্টেম্বর দলীয় পদ থেকে পদত্যাগ করেন। ফলে উপজেলা আহ্বায়ক কমিটি বিলুপ্ত করা হয়। এ অবস্থায় পাকুন্দিয়ায় বৈধভাবে সাংগঠনিক কার্যক্রম করা যাচ্ছে না। এ নিয়ে আগামী ২৭ জুন জেলা শিল্পকলা একাডেমি হলে বিশেষ বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত হবে। এ বর্ধিত সভায় পাকুন্দিয়া উপজেলা সাংগঠনিক কমিটি গঠন ও সাংগঠনিক কার্যক্রম সম্পর্কে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে। এর আগেও আপনাকে উপজেলার সাংগঠনিক কমিটি গঠন ও কার্যক্রম পরিচালনা না করার জন্য বলা হয়েছিল। কিন্তু দলীয় নির্দেশনা অমান্য করে ইউনিয়ন সম্মেলনসহ নানা কার্যক্রম পরিচালনা করছেন যা বৈধ নহে এবং কেন্দ্রীয় নির্দেশনা অবমাননার শামিল।’ কিন্তু জেলা আওয়ামী লীগের চিঠি পাওয়ার পরও সংসদ সদস্য নূর মোহাম্মদ বিভিন্ন ইউনিয়নে সম্মেলনসহ সাংগঠনিক কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন।

এ প্রসঙ্গে সংসদ সদস্য নূর মোহাম্মদ বলেন, ওনারা নিজেরাই বলছেন পাকুন্দিয়ার কমিটি নেই। কমিটি কবে ভাঙা হয়েছে তা কাউকে জানাননি। আহ্বায়ক যে পদত্যাগ করেছেন, কিংবা তার পদত্যাগপত্র গৃহীত হয়েছে কি না, তা তো আমরা বা পাকুন্দিয়ার কোনো ইউনিট জানে না। পাকুন্দিয়ায় যে ১৮/১৯ বছর ধরে কমিটি নেই, সেখানে ওয়ার্ড বা ইউনিয়ন কমিটি করতে সাংগঠনিকভাবে কোনো বাধা আছে বলে তিনি মনে করেন না।

আগামী ২৭ জুনের বর্ধিত সভার পর দলীয় কার্যক্রম করার সিদ্ধান্তের বিষয়ে তিনি বলেন, আমরা এ পর্যন্ত তিন/চারবার সিদ্ধান্ত নিয়ে আবার পিছিয়েছি। বর্তমানে ইউনিয়ন কমিটির সম্মেলনের তারিখ আগে থেকেই নির্ধারণ করা। তাছাড়া মাঠ পর্যায় থেকে প্রচ- চাপের কারণেই সম্মেলন করতে হচ্ছে বলে তিনি জানান।

এ ব্যাপারে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট এম এ আফজল বলেন, আমরা চিঠি দিয়ে কিশোরগঞ্জ-২ আসনের এমপিকে সতর্ক করেছি। আগামী ২৭ জুন বর্ধিত সভায় এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর