শুক্রবার, ২৫ জুন, ২০২১ ০০:০০ টা

জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বেনাপোল বন্দরে ১০ হাজার শ্রমিক

বেনাপোল প্রতিনিধি

জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বেনাপোল বন্দরে ১০ হাজার শ্রমিক

করোনাকালীন সময়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বেনাপোল বন্দরে কাজ করছেন হাজার হাজার শ্রমিক। কর্মরত শ্রমিকসহ বন্দর ব্যবহারকারী প্রায় ৭ হাজার সদস্যকে ভ্যাকসিনের আওতায় আনা না হলে হুমকির মুখে পড়বে বেনাপোল বন্দর। বন্দরের পণ্য আমদানি রপ্তানির সঙ্গে বন্দরের শ্রমিক ছাড়াও ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করেন কাস্টমসের কর্মকর্তা-কর্মচারী, বন্দরের কর্মকর্তা-কর্মচারী, সিএন্ডএফ এজেন্ট মালিক কর্মচারী, ট্রান্সপোর্ট মালিক শ্রমিক, ট্রাকের চালক ও সহকারীসহ প্রায় ৭/৮ হাজার বিভিন্ন পেশাজীবী মানুষ।

সরকার বছরে বেনাপোল বন্দর থেকে প্রত্যক্ষ পরোক্ষভাবে প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব পেয়ে থাকে। গত ১৯ জুন থেকে বেনাপোলে কঠোর বিধিনিষেধ ঘোষণার পরও করোনা ঝুঁকি মাথায় নিয়ে ভারতীয় ট্রাক ড্রাইভারদের পাশে থেকে কাজ করছে শ্রমিকসহ বন্দর ব্যবহারকারী পাঁচটি প্রতিষ্ঠানের প্রায় ৭ হাজার বিভিন্ন পেশার কর্মজীবী মানুষ। এতে তাদের শারীরিক ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা কঠিন হয়ে পড়েছে। ফলে বেনাপোলে আক্রান্তের হার দিন দিন বেড়েই চলেছে। সরকারিভাবে আক্রান্তের সংখ্যা শতাধিক বলা হলেও বেসরকারি হিসাবে আক্রান্তের সংখ্যা তিন শতাধিক বলে মনে করছেন ওষুধ ব্যবসায়ীদের সংগঠন।

বেনাপোলে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত বড়আঁচড়া, নামাজগ্রাম এবং দীঘিরপাড় এলাকা। জ্যামিতিকহারে বৃদ্ধি পাওয়া সংক্রমণ এড়াতে বেনাপোল বন্দরের শ্রমিকসহ আমদানি ও রপ্তানি কার্যক্রমের সঙ্গে জড়িত সবাইকে ভ্যাকসিনের আওতায় নেওয়া জরুরি বলে মনে করেন বেনাপোল বন্দর ব্যবহারকারী সব সংগঠনের নেতারা।

যশোর জেলা প্রশাসক তমিজুল ইসলাম খান বলেন, বেনাপোল বন্দর ব্যবহারকারি সবাইকে নিরাপদ রাখতে হবে। বন্দরে পণ্য খালাশ প্রক্রিয়ার সঙ্গে জড়িত সব সংগঠনের সদস্যসহ কাস্টমস এবং বন্দরের কর্মকর্তা কর্মচারীদের শতভাগ টিকা প্রদানের আওতায় আনতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে অনুরোধ জানানো হয়েছে।

বন্দরের উপপরিচালক আবদুল জলিল বলেন, পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে করোনা ভ্যারিয়েন্ট বেড়ে যাওয়ার কারণে সম্প্রতি বেনাপোল বন্দর এলাকায় সংক্রমণ একটু বেড়ে গেছে। বেনাপোল বন্দর ব্যবহারকারী সবাইকে টিকা প্রদান করার জন্য বন্দরের চেয়ারম্যানকে অবহিত করা হয়েছে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর