করোনার কারণে চট্টগ্রামে গণপরিবহন বন্ধ থাকায় পথে পথে ভোগান্তিতে পড়েছেন অফিসগামী যাত্রীরা। গতকাল নগরীর বিভিন্ন মোড়ে রিকশার আধিপত্যের পাশাপাশি যাত্রীদের ভোগান্তি পোহাতে দেখা গেছে। তবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে কঠোর হয়েছে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন। মনছুর ও তাহের নামের রিকশা যাত্রী বলেন, গণপরিবহন না থাকায় রিকশা ভাড়া বেড়ে গেছে কয়েকগুণ। নিরুপায় হয়েই চড়তে হচ্ছে রিকশায়। এতো বেশি ভাড়া দিয়ে যাদের রিকশায় চড়ার সামর্থ্য নেই তারা ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থেকেও কুল-কিনারা পাচ্ছেন না। তিনি আরও বলেন, স্বাস্থ্যঝুঁকি কমানোর কথা বললেও দুর্ভোগ শতগুণে বেড়েছে। হাজার হাজার মানুষের এই দুর্ভোগ দেখার কি কেউ নেই?
বেসরকারি ব্যাংকের মিনহাজ বলেন, লকডাউন ঘোষণা দিয়ে মানুষকে কষ্টের মধ্যে পড়েছে। গণপরিবহন বন্ধ কিন্তু অফিস খোলা। মানুষ কিভাবে যাতায়াত করবে? আবার বলা হচ্ছে, যাদের অফিস খোলা থাকবে তারা অফিসের নিজস্ব পরিবহন ব্যবহার করবেন। যেসব প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব পরিবহন নেই তারা কিভাবে যাবে সে চিন্তা কেউ করে না। দ্বিগুণ ভাড়া দিয়ে রিকশায় যেতে হচ্ছে। চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক মো. মমিনুর রহমান বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, কঠোর লকডাউনে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন এলাকায় জেলা প্রশাসনের ১২টি টিম কাজ করবে। এছাড়া প্রত্যেক উপজেলায় ৩টি করে টিম কাজ করবে। সরেজমিনে দেখা গেছে, লকডাউনে রিকশা ছাড়া সব ধরনের গণপরিবহন বন্ধ ছিল। খোলা রয়েছে সরকারি- বেসরকারি প্রতিষ্ঠান। এতে চাকরিজীবীরা পড়েন বিপাকে। কেউ হেঁটে আবার কাউকে প্রচলিত রিকশা ভাড়ার তিনগুণ দিয়ে পৌঁছাতে হচ্ছে গন্তব্যে। নিষেধাজ্ঞার প্রথমদিনে সাধারণের তুলনায় প্রায় কয়েকগুণ চাহিদা বেড়েছে রিকশার।