বুধবার, ৩০ জুন, ২০২১ ০০:০০ টা

জাতীয় চারুকলা প্রদর্শনী শুরু

সাংস্কৃতিক প্রতিবেদক

শিল্পকর্ম ও চারুশিল্পীদের বিকাশে শিল্পকলা একাডেমি নিয়মিতভাবে প্রদর্শনীর আয়োজন করে আসছে। এরই অংশ হিসেবে গতকাল শুরু হলো মাসব্যাপী জাতীয় চারুকলা প্রদর্শনী। এটি ২৪তম আসর। বিকালে প্রদর্শনীর ভার্চুয়াল উদ্বোধনীতে প্রধান অতিথি ছিলেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ। নীতিমালা অনুযায়ী ২১ বছরের ঊর্ধ্বে বাংলাদেশের ৭৮৬ জন শিল্পীর সহস্রাধিক শিল্পকর্মের মধ্য থেকে ৩২৩ জন শিল্পীর বাছাইকৃত ৩৪৭টি শিল্পকর্ম দিয়ে সাজানো হয়েছে প্রদর্শনী। এর মধ্যে চিত্রকলার ১৫৭টি, ছাপচিত্র ৫৩টি, আলোকচিত্র ১৭টি, ভাস্কর্য ৪৭টি, প্রাচ্যকলা ১০টি, মৃৎশিল্প সাতটি, কারুশিল্প ২০টি, গ্রাফিক ডিজাইন পাঁচটি, স্থাপনাশিল্প ১৮টি, নিউ মিডিয়া আর্ট সাতটি ও পারফরমেন্স আর্ট রয়েছে ছয়টি।

প্রত্যেক মাধ্যমে একটি করে মোট ১১টি শ্রেষ্ঠ পুরস্কার এবং সব মাধ্যম থেকে ‘বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি পুরস্কার-২০২১’ নামে একটি শ্রেষ্ঠ পুরস্কার ঘোষণা করা হয়। এ বছরের নতুন সংযোজন চারজন কিউরেটরের তত্ত্বাবধানে চারটি ভিন্ন মাত্রার আর্ট প্রজেক্ট প্রদর্শনীতে যুক্ত করা হয়েছে। জাতীয় চারুকলা প্রদর্শনী-২০২১ এ স্থাপনাশিল্পে শ্রেষ্ঠ পুরস্কার পেয়েছেন শিল্পী মো. ইমতিয়াজ ইসলাম, চিত্রকলায় রুহুল করিম রুমী, ছাপচিত্রে শিল্পী আনিসুজ্জামান, ভাস্কর্যে কনক কুমার পাঠক, প্রাচ্যকলায় সুশান্ত কুমার অধিকারী, কারুশিল্পে সামিয়া আফরিন, মৃৎশিল্পে মো. রবিউল ইসলাম, গ্রাফিক ডিজাইনে আল মঞ্জুর এলাহী, আলোকচিত্রে মো. আল ইয়াছা ইরফান উদ্দিন, পারফরমেন্স আর্টে ইফাত রেজোয়ানা রিয়া, নিউ মিডিয়া আর্টে জিহান করিম। এ ছাড়া সম্মানসূচক পুরস্কার পেয়েছেন চিত্রকলায় আবু তারেক মো. কাদিমুল ইসলাম যাদু ও ভাস্কর্যে আমিনুল ইসলাম আশিক ও অলক রাজবংশী, ছাপচিত্রে মো. রফিকুল ইসলাম। চিত্রকলায় বেঙ্গল ফাউন্ডেশন সম্মাননা পেয়েছেন অভিজিৎ চৌধুরী, কালিদাস কর্মকার সম্মাননা পেয়েছেন রাসেল কান্তি দাশ, ভাস্কর্যে ভাষাশহীদ গাজীউল হক সম্মাননা পেয়েছেন মো. তানভীর আহমেদ জয়, স্থাপনাশিল্পে শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক ফাউন্ডেশন সম্মাননা পেয়েছেন প্রমথেশ দাস পুলক, ছাপচিত্রে শিল্পী কাজী আনোয়ার হোসেন সম্মাননা পেয়েছেন কামরুজ্জামান। ৩১ জুলাই পর্যন্ত একাডেমির ওয়েবসাইটের (www.shilpakala.gov.bd) মাধ্যমে শিল্পানুরাগীরা ভার্চুয়াল এই প্রদর্শনীটি উপভোগ করতে পারবে। এ ছাড়া শিল্পকলা একাডেমির ফেসবুক পেজেও  (www.facebook.com/shilpakalapage) প্রদর্শনীটি উপভোগ করা যাবে।

রবীন্দ্রনাথের জন্মবার্ষিকীতে জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্র : বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬০তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে ‘নানা রবীন্দ্রনাথের মালা : রবীন্দ্র গ্রন্থ-পরিক্রমা’ শীর্ষক অনলাইন সেমিনারের আয়োজন করেছে জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্র। গতকাল বিকালে অনলাইনে সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ। সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আবুল মনসুরের সভাপতিত্বে এতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন লেখক, সাংবাদিক ও প্রাবন্ধিক আবুল মোমেন। আলোচনা করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক বিশ্বজিৎ ঘোষ ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক খালেদ হোসেন। কে এম খালিদ বলেন, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের রবীন্দ্রনাথ হিসেবে বেড়ে ওঠার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ অবদান রয়েছে। তার সাহিত্য জীবনের এক সোনালি সময় কেটেছে সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর ও কুষ্টিয়ার শিলাইদহে। তিনি নোবেল পুরস্কার এনে দিয়ে বাংলা ভাষা ও বাংলা সাহিত্যকে বিশ্বের দরবারে সম্মানের আসনে বসিয়েছেন। সবশেষে রবীন্দ্রসংগীত পরিবেশন করেন রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা। রবীন্দ্রনাথের কবিতা থেকে আবৃত্তি করেন ভাস্বর বন্দ্যোপাধ্যায়।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর