বৃহস্পতিবার, ১ জুলাই, ২০২১ ০০:০০ টা

করোনায় কার্যক্রম বন্ধ দুই শতাধিক হজ এজেন্সির

শফিকুল ইসলাম সোহাগ

করোনা মহামারীর কারণে পর পর দুই বছর সৌদি আরবে হজ যাত্রী পাঠাতে না পারায় বিপাকে পড়েছে দেশের হজ এজেন্সিগুলো। ইতিমধ্যে প্রায় দুই শতাধিক এজেন্সি তাদের স্বাভাবিক কার্যক্রম বন্ধ রেখেছে। অনেকেই সরকারের কাছে জামানতের ২০ লাখ টাকা ফেরত পেতে আবেদন করেছেন। এ বিষয় হজ এজেন্সিজ অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (হাব) সভাপতি এম শাহাদাত হোসাইন তসলিম বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, করোনাকালে সব সেক্টরে কমবেশি ব্যবসা হয়েছে, কিন্তু আমাদের সেক্টরে কেনো ধরনের ব্যবসা হয়নি। অফিস খরচ কুলাতে না পারায় ইতিমধ্যে প্রায় দুই শতাধিক এজেন্সি তাদের কার্যক্রম বন্ধ রেখেছে। অনেক হজ এজেন্সি কর্তৃপক্ষ জামানত ফেরত নেওয়ার আবেদন করেছে। জানা গেছে, ২০২০ সালে ৬৭ হাজার হজযাত্রীর পবিত্র হজ পালনে সৌদি আরব যাওয়ার কথা ছিল। প্রতি বছর শুধু হজের লেনদেন হয় প্রায় ১ হাজার কোটি টাকা। আর ওমরায় আড়াই থেকে ৩ হাজার কোটি টাকা লেনদেন হয়। এ পেশার সঙ্গে মালিক ও কর্মচারী মিলে ৩০ হাজার মানুষ যুক্ত। এ ছাড়া বিভিন্ন পেশার কয়েক লাখ মানুষ প্রত্যক্ষ-পরোক্ষভাবে রয়েছে।

 মক্কা-মদিনায় হজ ও ওমরার কাজে সরাসরি যুক্ত, এর বাইরে তারা অন্য কিছু করেন না, এমন বাংলাদেশি প্রবাসীর সংখ্যা প্রায় ১ লাখ।

এজেন্সিগুলোর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তাদের ব্যবসা বন্ধের কারণে অনেকেই কর্মীদের বিদায় করে দিয়েছেন। অধিকাংশ এজেন্সি অফিস ভাড়াও দিতে পারছে না। তারা সরকারের কাছে প্রণোদনা চান। হাব নেতারা বলছেন, সামনে কী হবে, তারা জানেন না। তাদের এখন সাড়ে ১২০০ হজ এজেন্সি এবং ৫৫০টি ওমরা এজেন্সি তালিকাভুক্ত রয়েছে। অনেক হজযাত্রীর টাকা ফেরত দিতে হচ্ছে। তারা অর্থনৈতিক দৈন্যতার মধ্যে রয়েছে। অনেকে লাইসেন্স ছাড়ের কথা ভাবছে। যারা অভিজ্ঞ তারা ঝরে পড়লে পরবর্তীতে এই ব্যবস্থাপনা ক্ষতিগ্রস্ত হবে। ৯৬ শতাংশ বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজে যায়। এ সেক্টরকে সরকারের বাঁচিয়ে রাখতে হবে। কুহেতুর ওভারসিজ লির চেয়ারম্যান মুফতি সিদ্দিকুর রহমান বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, সরকারের প্রণোদনা দেওয়ার কথা ছিল, কিন্তু দেয়নি। ২০২০ সালে ২৬ ফেব্রুয়ারি ওমরা বন্ধ হওয়ার পর সৌদি সরকার ভিসার টাকা ফেরত দিলেও তা তোলা সম্ভব হয়নি।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর