শিরোনাম
বৃহস্পতিবার, ১ জুলাই, ২০২১ ০০:০০ টা

ব্যবসা-বাণিজ্য স্বাভাবিক না হলে বাড়বে ঋণখেলাপি

সব ঋণ বিরূপমানে শ্রেণিকরণ সুবিধা বাড়ানোর দাবি

নিজস্ব প্রতিবেদক

দেশের সব ব্যবসা-বাণিজ্য ও শিল্পখাতের ঋণ বিরূপমানে শ্রেণিকরণ সুবিধা আগামী ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়ানোর দাবি জানিয়েছেন ব্যবসায়ী-শিল্পপতিদের শীর্ষ সংগঠন বাংলাদেশ শিল্প ও বণিক সমিতি ফেডারেশন-এফবিসিসিআই সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন। তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, করোনা পরিস্থিতির উন্নতি এবং ব্যবসায়িক কার্যক্রম স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত বাংলাদেশ ব্যাংকের দেওয়া সুবিধাসমূহের মেয়াদ বাড়ানো না হলে, অধিকাংশ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান অনিচ্ছাকৃত খেলাপি গ্রাহকে পরিণত হবে। এতে উৎপাদন ও ব্যবসায়িক কার্যক্রম ভীষণভাবে ব্যাহত হবে। ফলে ব্যাংকিং খাতসহ পুরো অর্থনীতি বিপর্যস্ত হবে। গতকাল মতিঝিলে বাংলদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবিরের সঙ্গে তার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত বৈঠকে এসব কথা বলেন এফবিসিসিআই সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন। এতে উপস্থিত ছিলেন এফবিসিসিআইর সহসভাপতি এম এ মোমেন, আমিন হেলালী এবং সাবেক পরিচালক মঞ্জুর আহমেদ প্রমুখ। ওই বৈঠকে মো. জসিম উদ্দিন বলেন, চলমান করোনা পরিস্থিতির কারণে সারা বিশ্বের মতো বাংলাদেশের ব্যবসা-বাণিজ্য এবং অর্থনৈতিক কার্যক্রমেও ব্যাপক বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। বিশ্বজুড়ে বিধ্বস্ত অর্থনৈতিক কার্যক্রমের অনিশ্চিত পুনরুদ্ধারের পটভূমিতে ঋণগ্রহীতারা ব্যাংক ঋণের কিস্তি পরিশোধ করার সক্ষমতা হারাচ্ছেন। অধিকাংশ ব্যবসায়ী শিল্প ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সচল রাখতে হিমশিম খাচ্ছেন এবং ঋণের কিস্তি সময় মতো পরিশোধ করতে পারছেন না। এফবিসিসিআই সভাপতি গভর্নরকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, কভিড পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে ঋণ বিরূপমানে শ্রেণিকরণের সময়সীমা আগামী ৩১ আগস্ট পর্যন্ত বৃদ্ধি এবং অন্যান্য পলিসি সাপোর্ট দেওয়া হয়েছে। তবে বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুসৃত নীতিমালার আলোকে চলমান অর্থনৈতিক কর্মকান্ডের গতিশীলতা এবং বেসরকারি খাতের গতিধারা স্বাভাবিক রাখার মাধ্যমে কাক্সিক্ষত বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থান সমুন্নত রাখার লক্ষ্যে সব ব্যবসা-বাণিজ্য ও শিল্প খাতের ঋণ বিরূপমানে শ্রেণিকরণ প্রক্রিয়ার সময়সীমা বিনা শর্তে আগামী ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়ানো হোক। সেই সঙ্গে দেশের ক্ষুদ্র ও কুটিরশিল্প তথা এসএমই খাতের উন্নয়নে বাংলাদেশ ব্যাংকের অব্যাহত সহযোগিতা চান এই ব্যবসায়ী নেতা।

সর্বশেষ খবর