শনিবার, ৩ জুলাই, ২০২১ ০০:০০ টা

জৌলুস হারিয়েছে খাতুনগঞ্জ

সাইদুল ইসলাম, চট্টগ্রাম

জৌলুস হারিয়েছে খাতুনগঞ্জ

করোনার প্রাদুর্ভাব দিন দিন বাড়তে থাকায় চট্টগ্রামের বৃহত্তম ও ঐতিহ্যবাহী পাইকারি বাজার খাতুনগঞ্জের জৌলুস ক্রমেই হ্রাস পাচ্ছে। চট্টগ্রামের বিখ্যাত পাইকারি বাজার খাতুনগঞ্জ, চাক্তাই, কোরবানীগঞ্জ ও আছাদগঞ্জে এক সময় প্রতিদিন হাজার কোটি টাকার ব্যবসা-বাণিজ্য  হতো। চলমান করোনা পরিস্থিতিতে কঠোর লকডাউনসহ বিভিন্ন কারণে বর্তমানে শত কোটি টাকার ব্যবসা করতে কষ্ট হচ্ছে ব্যবসায়ীদের। সব মিলিয়ে কোরবানির ঈদবাজারের এই ভরা মৌসুমে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন ব্যবসায়ীরা। এদিকে ঈদবাজারকে সামনে রেখে এখানকার একটি অশুভ চক্র কোরবানি-সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন পণ্য বিশেষ করে মসলা জাতীয় পণ্যের দামে কারসাজিতে লিপ্ত থাকলেও অসাধু কোনো ব্যবসায়ী নিত্যপণ্যের দাম যাতে বাড়াতে না পারে সেজন্য বাজার মনিটরিং করারও পরামর্শ দিয়েছেন আড়তদাররা। এতে প্রশাসনও কঠোর নজরদারিতে থাকবেন বলে দায়িত্বশীল সূত্রে জানা গেছে। খাতুনগঞ্জের ব্যবসায়ীদের সূত্রে জানা গেছে, কোরবানির ঈদ সামনে রেখে চাক্তাই-খাতুনগঞ্জে সংশ্লিষ্ট পণ্য রয়েছে পর্যাপ্ত। লকডাউনের আগে স্বাভাবিক পরিস্থিতিতে পণ্যের পর্যাপ্ত মজুদ থাকায় নিত্যপণ্যের কোনো সংকটও হবে না। করোনা পরিস্থিতির দ্বিতীয় ঢেউয়ের কারণে চলমান লকডাউনের কারণে চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি, রাউজান, রাঙ্গুনিয়া, হাটহাজারী, সাতকানিয়া, লোহাগাড়াসহ বিভিন্ন গ্রাম-উপজেলা থেকে খুচরা ব্যবসায়ীরা শহরে আসতে পারছেন না। এতে করে বৃহত্তম খাতুনগঞ্জের বিভিন্ন স্থানে ক্রেতাদেরও দেখা নেই। চাক্তাই-খাতুনগঞ্জ আড়তদার ও সাধারণ ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, গত বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হয়েছে কঠোর লকডাউন। এই কারণে খাতুনগঞ্জ থেকে জেলা ও উপজেলায় পণ্য সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। গাড়ি চলাচল না থাকায় এসব স্থানের ব্যবসায়ীরাও চাক্তাই-খাতুনগঞ্জ-আছাদগঞ্জ ও কোরবানীগঞ্জে আসতে পারছেন না। এতে নিয়মিত যে পরিমাণ আগে লেনদেন হতো, সেই লেনদেনের তুলনায় বর্তমানে হচ্ছে মাত্র ৩৫ শতাংশ। তবে দাম স্বাভাবিক রাখতে ব্যবসায়ীদের সচেতনতার পাশাপাশি প্রশাসনের নজরদারিও দরকার বলে জানান তিনি। খাতুনগঞ্জের ব্যবসায়ী আশুতোষ মহাজন বলেন, আমদানিকারকদের মোকামগুলোতে ও ক্রেতাদের কাছেও পর্যাপ্ত নিত্যপণ্য মজুদ আছে। এতে কোনো ধরনের নিত্যপণ্যের দাম বাড়বে না।

 কোরবানি সামনে রেখে যে পরিমাণ ব্যবসা হতো তা থেকে বঞ্চিত হলো চাক্তাই-খাতুনগঞ্জের ব্যবসায়ীরা। অন্য সময় যেখানে সব মিলিয়ে দিনে ১ হাজার ৭০০ কোটি থেকে ২ হাজার কোটি টাকা লেনদেন হতো, সেখানে বর্তমানে ৬০০ কোটি থেকে ৮০০ কোটি টাকার উপরে হচ্ছে না। সর্বশেষ গত বৃহস্পতিবার হয়েছে ৫০০ থেকে ৭০০ কোটি টাকা। বৃহস্পতিবার পিঁয়াজ, আদা-রসুনভর্তি বেশ কয়েকটি পণ্যবাহী ট্রাকও খালাস হয়েছে। এদিকে পণ্যের পর্যাপ্ত মজুদ থাকলেও তেমন বেচা-বিক্রি নেই।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর