শিরোনাম
মঙ্গলবার, ৬ জুলাই, ২০২১ ০০:০০ টা
জলাবদ্ধতা

নতুন সড়কে পুরনো ভোগান্তি

নিজস্ব প্রতিবেদক, খুলনা

নতুন সড়কে পুরনো ভোগান্তি

২০১৯-২০২১ সালের জুন পর্যন্ত ১৭ কোটি ৩৮ লাখ টাকা ব্যয়ে রাস্তা, ড্রেন ও ফুটপাথ পুনর্নির্মাণ করা হয়েছে খুলনা নগরীর কেডিএ এভিনিউ ও আবু আহমেদ সড়কে। পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা উন্নয়ন ও জলাবদ্ধতা নিরসনে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হয়। কিন্তু নির্মাণকাজ শেষেও জলাবদ্ধতার পুরনো ভোগান্তি রয়ে গেছে। গতকাল দুপুরের মাঝারি আকারের বৃষ্টিতে কেডিএ এভিনিউ সড়কে শিববাড়ী, জীবনবীমা এলাকা, শেখপাড়া তেঁতুলতলা, রয়েল মোড়ে পানি জমে ভোগান্তি তৈরি হয়। সড়কের ব্র্যাক ব্যাংকের সামনে দাঁড়িয়ে থাকা মোটরসাইকেল ও প্রাইভেট কার পানিতে প্রায় অর্ধেক ডুবে যায়। এ ছাড়া টাইগার গার্ডেন হোটেলের পাশে পুরনো শেখপাড়া গলি, গোবরচাকা সড়কসহ আশপাশের এলাকা পানিতে তলিয়ে যায়। জানা যায়, মিউনিসিপ্যাল ডেভেলপমেন্ট ফান্ডের আওতায় সড়কের সংস্কার ও ড্রেন ফুটপাথ পুনর্নির্মাণ করা হয়েছে। বৃহত্তর খুলনা উন্নয়ন সংগ্রাম সমন্বয় কমিটির সভাপতি শেখ আশরাফ-উজ্জামান জানান, সঠিক পরিকল্পনার অভাবে এখানে পানি দ্রুত নিষ্কাশনের ব্যবস্থা নেই। কাজের গুনগত মান ঠিক না থাকায় সড়কের কোথাও উঁচু কোথাও নিচু। এতে বৃষ্টি হলেই ড্রেনের নোংরা পানিতে চারপাশ সয়লাব হয়ে যায়।

এ ছাড়া সড়ক ও ফুটপাথটি অপরিকল্পিত উঁচু করায় আশপাশের এলাকায়ও জলাবদ্ধতা তৈরি হচ্ছে। এদিকে পানি নিষ্কাশনের অভাবে জলাবদ্ধতায় দোলখোলা রোড, মডার্ন ফার্নিচার মোড়, সিটি কলেজ রোড, বাইতিপাড়া, খানজাহান আলী রোড, শান্তিধাম মোড় ও আহসান আহমেদ রোডেও ভোগান্তি তৈরি হয়েছে। এখানে সড়কের পাশে বাড়িঘর ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে পানি ঢুকেছে। তবে কেসিসির প্যানেল মেয়র মো. আমিনুল ইসলাম মুন্না জানান, পানি নিষ্কাশনে কেসিসি কাজ করছে। তবে বৃষ্টির কারণে কয়েকটি বড় সড়ক ও ড্রেনের সংস্কার কাজ আটকে গেছে। প্রকল্প অনুযায়ী সড়ক ও ড্রেনের কাজ বাস্তবায়ন হলে জলাবদ্ধতা নিরসন হবে। আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, গতকাল সকাল ৬টা থেকে বিকাল ৩টা পর্যন্ত নগরীর গল্লামারী এলাকায় ৬ মিলিমিটার ও শহর এলাকায় ৩০-৩৫ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে।

এই রকম আরও টপিক

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর