যৌতুক চাওয়ার অভিযোগে স্ত্রীর দায়ের করা মামলায় শরীয়তপুর সদর হাসপাতালের কারাবন্দী চিকিৎসক মো. মোস্তাফিজুর রহমান স্বপনকে ভর্ৎসনা করেছে হাই কোর্ট। তাকে উদ্দেশ করে আদালত বলেছে, আপনি একজন শিক্ষিত মানুষ। আপনার বিরুদ্ধে যৌতুক চাওয়ার অভিযোগ উঠবে কেন? আপনি একজন ব্যর্থ স্বামী। ওই চিকিৎসকের জামিন আবেদনের শুনানিতে গতকাল বিচারপতি জে বি এম হাসানের ভার্চুয়াল হাই কোর্ট এসব মন্তব্য করে। পরে ওই চিকিৎসককে ছয় মাসের জামিন দিয়েছে আদালত। আদালতে জামিন আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট ড. মমতাজ উদ্দিন আহমেদ মেহেদী ও অ্যাডভোকেট মো. ইলিয়াস হোসেন। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায়।
শুনানিতে ডা. স্বপনের আইনজীবী আদালতকে বলেন, গত ৪ মার্চ তাদের স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া হয়। ঘটনার পর গত ৬ মার্চ স্ত্রীকে তিনি তালাক দেন। এরও প্রায় দুই মাস পর যৌতুকের মামলা করা হয়েছে। এই ডাক্তার একজন করোনা যোদ্ধা। তিনি ২৫তম বিসিএস উত্তীর্ণ হয়ে সরকারি চিকিৎসক হিসেবে কর্তব্যরত আছেন।
জামিন আবেদনের বিরোধিতা করে রাষ্ট্রপক্ষে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায় আদালতকে বলেন, নথিপত্রে দেখা যায়, এই ডাক্তার তার স্ত্রীকে মারধর করেছেন। যৌতুকের অভিযোগের মামলার আগে একটি জুডিশিয়াল অনুসন্ধান হয়েছে। তাতে অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া গেছে। এরপর মামলা রেকর্ড হয়েছে। পরে আদালত চিকিৎসকের জামিন মঞ্জুরের আদেশ দেয়।
