বৃহস্পতিবার, ৮ জুলাই, ২০২১ ০০:০০ টা

চট্টগ্রাম প্রশাসনের সামনে চার চ্যালেঞ্জ

লকডাউন বাস্তবায়ন পাহাড়ধস, ত্রাণ বিতরণ ও বাজার নিয়ন্ত্রণ

রেজা মুজাম্মেল, চট্টগ্রাম

বৈশ্বিক মহামারী করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি ঠেকাতে কঠোর লকডাউনে সরকারি নির্দেশনা বাস্তবায়ন করছে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন। বর্ষা এলেই প্রতিনিয়ত শঙ্কা বাড়ে পাহাড় ধসের, অভিযান পরিচালনা করে প্রশাসন। করোনার প্রকোপ বৃদ্ধির পর ওষুধ-চিকিৎসা উপকরণ ও নিত্যভোগ্যপণ্যের বাজার নিয়ন্ত্রণে পরিচালনা করতে হয় অভিযান। একই সঙ্গে অব্যাহত রাখতে হয় অসহায়-গরিবদের মাঝে সরকারি ত্রাণ বিতরণ কর্মসূচি। এসব কাজ একযোগে বাস্তবায়ন করছে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন। কিন্তু সব কাজ বাস্তবায়ন করতে হচ্ছে একই সময়। প্রতিটি কর্মসূচির সঙ্গে সম্পর্ক রাষ্ট্রীয় সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন এবং মানুষের প্রাণ রক্ষা। তাই এসব বাস্তবায়ন চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। লকডাউন বাস্তবায়নে গত ১ থেকে ৬ জুলাই ছয় দিনে ৩৬০টি মামলায় ৯৫ হাজার ৫২০ টাকা জরিমান করা হয়। জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. উমর ফারুক বলেন, জেলা প্রশাসক মহোদয়ের নির্দেশনায় সরকারি সিদ্ধান্ত সূচারুরূপে বাস্তবায়নে কাজ করা হচ্ছে। এরই মধ্যে লকডাউন বাস্তবায়ন, ঝুঁকিপূর্ণ পাহাড়ে অভিযান পরিচালনা, প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসাবে ত্রাণ বিতরণসহ প্রয়োজনীয় সব কাজ বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। জেলা প্রশাসনের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মোহাম্মদ ইউনুছ বলেন, জেলা প্রশাসকের নেতৃত্বে পাঁচজন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক, ছয়জন সহকারী কমিশনার (ভূমি), ২২ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এবং শতাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারী লকডাউন বাস্তবায়ন, ঝুঁকিপূর্ণ পাহাড়ে অভিযান পরিচালনাসহ সামগ্রিক কর্মসূচি পালন করতে নিরলসভাবে কাজ করে আসছেন।  জানা যায়, লকডাউনে সরকারি নির্দেশনা বাস্তবায়নে প্রতিদিন জেলা প্রশাসনের ১০ থেকে ১২ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সকাল-বিকাল শিফট করে মাঠে চষে বেড়াচ্ছেন।

 এ সময় নিয়ম অমান্য করায় জরিমানা, সতর্ক করা এবং বুঝিয়ে বাসায় পাঠিয়েও দেওয়া হচ্ছে। গত বৃহস্পতিবার থেকে গত মঙ্গলবার পর্যন্ত পরিচালিত ৩৬০টি অভিযানে ৯৫ হাজার ৫২০ টাকা জরিমানা করা হয়। করোনা মোকাবিলায় জেলা প্রশাসনের সব শাখার শতাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারী একযোগে কাজ করছেন।

অন্যদিকে, চট্টগ্রাম নগরে অতিঝুঁকিপূর্ণ ১৭টি পাহাড়ে বাস করছে প্রায় ৫ হাজার মানুষ। বৃষ্টি এলেই পাহাড় ধসের শঙ্কা থাকে। গত সপ্তাহে টানা বর্ষণে ঝুঁকিপূর্ণ পাহাড়গুলোতে তৈরি হয় ধসের শঙ্কা। এ কারণে ঝুঁকিপূর্ণ পাহাড় থেকে মানুষ সরিয়ে নেওয়া, এলাকায় মাইকিং ও সতর্ক করেছে জেলা প্রশাসন। তাছাড়া, করোনা বৃদ্ধি পেলেই বেড়ে যায় ওষুধ, চিকিৎসা উপকরণ ও নিত্যভোগ্যপণ্যের মূল্য। কিন্তু অভিযান পরিচালিত হলে কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আসে মূল্য। এর সঙ্গে আছে প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ উপহারসামগ্রী বিতরণ। জেলা প্রশাসন গত এক সপ্তাহে ৩০০ নির্মাণ শ্রমিক, ৩০০ ডেকোরেশন শ্রমিক, ঝুঁকিপূর্ণ পাহাড়ে বসবাসরত ২৭৮ পরিবারকে নগদ অর্থ সহায়তা প্রদান করে বলে জানা যায়।

সর্বশেষ খবর