শুক্রবার, ৯ জুলাই, ২০২১ ০০:০০ টা

সক্ষমতা বাড়ছে মোংলা বন্দরের

কেনা হচ্ছে অত্যাধুনিক পাঁচটি মোবাইল হারবার ক্রেন

বাগেরহাট প্রতিনিধি

আগামী বছর পদ্মা সেতু চালু হলে রাজধানী ঢাকার কাছের মোংলা বন্দরে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যের চাপ বাড়বে। এ অবস্থায় মোংলা বন্দরের সক্ষমতা দ্বিগুণ করতে জার্মানি থেকে কেনা হয়েছে অত্যাধুনিক পাঁচটি মোবাইল হারবার ক্রেন। মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ প্রথমে ১৫ জুন দুটি অত্যাধুনিক মোবাইল হারবার ক্রেন আমদানি করেন। বুধবার বিকালে অবশিষ্ট তিনটি হারবার ক্রেন নিয়ে বন্দর জেটিতে ভিড়েছে বিদেশি জাহাজ ‘ইমকি’। জার্মানির রকস্ট্রক বন্দর থেকে ছেড়ে আসা ইতালির পতাকাবাহী এ জাহাজটি বন্দরের ৯ নম্বর জেটিতে নোঙর করার পর গতকাল সকালে খালাস শুরু হয়েছে ক্রেনসহ ৮০টি প্যাকেজে আনা ক্রেনের মূল্যবান যন্ত্রাংশ। মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের যান্ত্রিক ও তড়িৎ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সোহেল রানা এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, সকাল থেকে ১ হাজার ৩৩২ মেট্রিক টন ওজনের তিনটি অত্যাধুনিক মোবাইল হারবার ক্রেনসহ ৮০টি প্যাকেজে আনা ক্রেনের মূল্যবান যন্ত্রাংশ খালাস করা হচ্ছে। পাঁচ দিনের মধ্যে জাহাজ থেকে যন্ত্রাংশ খালাসের পর পাঁচটি ক্রেনই জার্মান প্রকৌশলীদের দিয়ে বন্দরের জেটিতে সংযুক্ত করা হবে। জার্মানির লিভার কোম্পানির তৈরি অত্যাধুনিক এ ক্রেনগুলো কিনতে মোংলা বন্দরের ব্যয় হয়েছে ১২০ কোটি টাকা। সাইফ পাওয়ার লিমিটেড এ ক্রেন সরবরাহ করেছে। এ ক্রেন দিয়ে বন্দরে ১২ সারিতে রাখা কনটেইনারবাহী জাহাজের কনটেইনার একসঙ্গে হ্যান্ডলিং করা সম্ভব হবে। এত মোংলা বন্দরের সক্ষমতা দ্বিগুণ হবে। মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ মুসা বলেন, ‘করোনা মহামারীর মধ্যেও দেশের দ্বিতীয় সমুদ্রবন্দর মোংলা নতুন রেকর্ড গড়েছে। বিদায়ী অর্থবছর (২০২০-২১) এ বন্দরে সর্বোচ্চ ৯৭০টি জাহাজ আগমনে নতুন রেকর্ড সৃষ্টির পাশাপাশি রেকর্ড ১১৯ কোটি ৪৫ লাখ মেট্রিক টন পণ্য হ্যান্ডলিং (ওঠানামা) ও খালাস হয়েছে। রিকন্ডিশন গাড়ি এসেছে ১৪ হাজার ৪৪৭টি; যা থেকে মোংলা বন্দর রেকর্ড ৩৪০ কোটি টাকা আয় করেছে।

আগামী বছর পদ্মা সেতু চালু হলে রাজধানী ঢাকার কাছের মোংলা বন্দরে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যের চাপ বহুগুণ বাড়বে। এজন্য প্রস্তুত হচ্ছে মোংলা বন্দর। এ অবস্থায় এ বন্দরের সক্ষমতা দ্বিগুণ করতে জার্মানি থেকে কেনা হয়েছে অত্যাধুনিক ক্রেনগুলো। পাশাপাশি বন্দর উন্নয়নে আরও প্রায় ৭০০ কোটি টাকার প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। বন্দর উন্নয়নে মাস্টারপ্ল্যান তৈরির কাজ চলছে এবং তা বাস্তবায়ন হলে মোংলা বন্দর দেশের অর্থনীতি ও আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যে ব্যাপক ভূমিকা রাখতে সক্ষম হবে।’

উল্লেখ্য, ১৯৫০ সালে ব্রিটিশ বাণিজ্যিক জাহাজ দ্য সিটি অব লায়ন্সের সুন্দরবনের পশুর নদের জয়মণির ঘোল এলাকায় নোঙরের মধ্য দিয়ে যাত্রা হয় মোংলা বন্দরের।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর