আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য, ১৪ দলের সমন্বয়ক ও মুখপাত্র আমির হোসেন আমু বলেছেন, দেশ ও জাতির দুঃসময়ে, আওয়ামী লীগের সংগ্রামী পথচলায় সাহারা খাতুন আজ ও আগামী প্রজন্মের জন্য অফুরান প্রেরণার উৎস হয়ে থাকবেন। গতকাল বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট আয়োজিত আওয়ামী লীগের সাবেক প্রেসিডিয়াম সদস্য সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাহারা খাতুনের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত ভার্চুয়াল আলোচনায় তিনি এ কথা বলেন। বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের কার্যকরী সভাপতি শিল্পী রফিকুল আলমের সভাপতিত্বে এবং সুজন হালদারের সঞ্চালনায় আলোচনায় অংশ নেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক, তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডাক্তার মুরাদ হাসান, সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, আওয়ামী লীগের আইনবিষয়ক সম্পাদক নজিবুল্লাহ হিরু, ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর আবদুল্লাহ আবু, আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সদস্য অ্যাডভোকেট সনজীদা খাতুন, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক অরুণ সরকার রানা ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অভিনেত্রী তারিন জাহান প্রমুখ। আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে আইনজীবীদের সংগঠিত করতে সাহারা খাতুন যে অবদান রেখে গেছেন, তা জাতি চিরদিন শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করবে। সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশনে সাহারা খাতুনের নামে একটি ভবন করার প্রস্তাব করেন তিনি।
সাহারা খাতুনের কর্মময় সংগ্রামী জীবনের স্মৃতিচারণ করে তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডাক্তার মুরাদ হাসান বলেন, সাহারা খাতুন কর্মীদের জন্য এবং সাধারণ মানুষের জন্য সবসময় নিবেদিত ছিলেন। তাঁর কর্মময় জীবন থেকে প্রেরণা নিতে তরুণ প্রজন্মের প্রতি আহ্বান জানান ডাক্তার মুরাদ হাসান। এর আগে সকালে বনানী কবরস্থানে তাঁর কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট। জোটের কার্যকরী সভাপতি স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের কণ্ঠশিল্পী রফিকুল আলম, জোটের সহ-সভাপতি শেখ জাহাঙ্গীর আলম, সাধারণ সম্পাদক অরুণ সরকার রানা প্রমুখ শ্রদ্ধা নিবেদনকালে ছিলেন। এরপর ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক এস এম মান্নান কচি, সাংগঠনিক সম্পাদক আজিজুল হক রানা শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। সাহারা খাতুনের আমৃত্যু স্মৃতিবিজড়িত (ঢাকা-১৮) আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য হাবীব হাসান বিকালে বনানী কবরস্থানে ফুলেল শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। পরে তার নেতৃত্বে ওই আসনের অন্তর্ভুক্ত সব মসজিদে মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
