শিরোনাম
রবিবার, ১১ জুলাই, ২০২১ ০০:০০ টা

চামড়ার বাজার নিয়ন্ত্রণের শঙ্কা

নিজস্ব প্রতিবেদক, রংপুর

এবারও করোনা হানা দিয়েছে চামড়া ব্যবসায়। চামড়া ব্যবসায়ীদের হাতে নগদ টাকা নেই। ব্যাংক থেকেও ঋণ পাওয়ার সম্ভাবনা নেই। বিগত দিনের বকেয়া পরে রয়েছে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানের ট্যানারিগুলোতে। উত্তরাঞ্চলে প্রায় দেড় হাজার চামড়া ব্যবসায়ী টাকার অভাবে এবার চামড়া ক্রয় করতে পারবেন না বলে সন্দিহান হয়ে পড়েছেন। গত বছরের মতো এবারও অর্ধেক দামে ট্যানারি মালিকরা সিন্ডিকেট করে চামড়ার দাম নিয়ন্ত্রণ করবে এমনটা শঙ্কা করছেন ব্যবসায়ীরা। কদিন পরেই কোরবানির ঈদ। এই ঈদকে ঘিরে প্রতি বছর চামড়া ব্যবসায়ীদের মধ্যে সাজ সাজ রব লক্ষ্য করা গেলেও করোনা এবারও এনে দিয়েছে ভিন্ন চিত্র। একে পূর্বের বকেয়া টাকা না পাওয়া অন্যদিকে করোনার কারণে অনেকস্থানে হাট বন্ধ থাকায় গরুর আমদানি তুলনামূলক কমে যেতে পারে এমন শঙ্কায় চামড়া ব্যবসায়ী ও ফড়িয়াদের মাঝে হতাশার সুর লক্ষ্য করা গেছে।

চামড়া ব্যবসায়ীদের সূত্রে জানা গেছে, উত্তরাঞ্চলে প্রতি বছর কোরবানির সময় প্রতিটি জেলায় দুই থেকে আড়াই লাখ চামড়ার আমদানি হতো। সেই হিসেবে প্রতি বছর কোরবানির সময় ৩৫ থেকে ৪০ লাখ গরুর চামড়া আমদানি হয়। ব্যবসায়ীদের আশঙ্কা এবার সেই লক্ষ্য পূরণ হবে না। কবছর আগেও ২০০-এর ওপর চামড়ার গোডাউন ছিল। বর্তমানে তা নেমে এসেছে ৪০ থেকে ৫০টিতে।

এদিকে চামড়ার দাম এখন পর্যন্ত নির্ধারণ না হওয়ায় ব্যবসায়ীরা শঙ্কার মধ্যে রয়েছে। তাদের আশঙ্কা গত বছরের মতো সিন্ডিকেট করে ট্যানারি মালিকরা এবারও চামড়ার বাজার নিয়ন্ত্রণ করবে। চামড়া ব্যবসায়ীরা জানান, গত বছর অর্ধেক দামে চামড়া বিক্রি করতে বাধ্য হয়েছেন। ক্রেতা না থাকায় অনেকে খাসির চামড়া ফেলে দিয়েছেন। এবারও এমনটা হতে পারে বলে শঙ্কা করা হচ্ছে।

এ প্রসঙ্গে রংপুর জেলা চামড়া ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আবদুল লতিফ খান ও সাধারণ সম্পাদক আজগর আলী জানান, উত্তরাঞ্চলের চামড়া ব্যবসায়ীদের ২০০ কোটির বেশি টাকা ট্যানারিগুলোতে বকেয়া রয়েছে। সরকার বড় বড় ট্যানারিদের কোটি কোটি টাকা ব্যাংক ঋণ দেয়। কিন্তু চামড়া ব্যবসায়ীদের কোনো প্রকার ব্যাংক ঋণ দেওয়া হয় না। ফলে চামড়া ব্যবসায়ীরা ধারদেনা করে এ ব্যবসা টিকিয়ে রেখেছেন।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর