রাজশাহীর পুঠিয়ায় ৩০ মণ ওজনের ‘শান্ত বাবু’ নামের একটি ষাঁড় নিয়ে চলছে জোর আলোচনা। খামারির প্রত্যাশা, ১৬ লাখের বেশি টাকায় ষাঁড়টি বিক্রি করবেন। স্বভাবের কারণে নাম ‘শান্ত বাবু’। বড় শখ করে পুঠিয়ার কান্দ্রা গ্রামের আলিমুদ্দিন তিন বছর ধরে পুষে বড় করেছেন সাদা-কালো মিশ্রণের ফ্রিজিয়ান জাতের এই ষাঁড়টি। করোনা ও বন্যার কারণে বাজার মন্দা থাকায় গত কোরবানির ঈদে শান্ত বাবুকে বিক্রি করতে পারেননি আলিমুদ্দিন।
এক বছরে ২২ মণ থেকে বেড়ে ৩০ মণ ওজন হওয়া শান্তকে তিনি বিক্রি করতে চান ১৬ লাখ টাকার ওপরে। আলিমুদ্দিন বললেন, ‘আমার এই পৈতৃক ভিটা ছাড়া দুই বিঘা আবাদি জমি আছে। শান্ত বাবুকে পোষার জন্য জমিটা বন্ধক দিয়েছিলাম গত বছর। বাড়ির গরুর বাছুর, এ আমার ভালোবাসার ধন। আমার কষ্ট হলেও গত ঈদে বিক্রি না করে আরও একটি বছর পুষেছি। এ বছর বিক্রি করতে না পারলে আরও কয়েক বছর পুষতে বাধা নেই। কারণ ওকে আমি বাড়ির এক সদস্য মনে করি।’ সম্পূর্ণ দেশি খাবারে ৪০ মাসে ৩০ মণ ওজন হয়েছে জানিয়ে কৃষক আলিমুদ্দিন বলেন, ‘আমার গরু বড় করতে কোনো মোটাতাজাকরণের হরমোন ওষুধ, ইনজেকশন দেইনি। প্রতিদিন গরুটি ১২ থেকে ১৪ কেজি খাবার খায়। তার ভাষ্য ‘প্রতিদিন খাবারের পেছনে এখন এক হাজার টাকা খরচ হয়।’ রাজশাহী জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ইসমাইল হক বলেন, ‘শান্ত বাবু’ নামের গরুটি ফ্রিজিয়ান জাতের। সম্পূর্ণ দেশীয় খাবার খাইয়ে প্রাকৃতিক উপায়ে লালন-পালন করেছে গরুটিকে। এবারের কোরবানির হাটে রাজশাহী জেলার সব থেকে বড় ৩০ মণ ওজনের গরু এখনো পর্যন্ত ‘শান্ত বাবু’।