সোমবার, ১২ জুলাই, ২০২১ ০০:০০ টা

ইভ্যালির চেয়ারম্যান এমডিকে প্রয়োজনে জিজ্ঞাসাবাদ : দুদক

নিজস্ব প্রতিবেদক

আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ অনুসন্ধানে প্রয়োজনে ই-কমার্স প্ল্যাটফরম ইভ্যালির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ রাসেল ও চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলে জানিয়েছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আইনজীবী অ্যাডভোকেট খুরশীদ আলম খান। গতকাল সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

খুরশীদ আলম বলেন, ইভ্যালির বিরুদ্ধে দুদক অনুসন্ধান করছে।  আইনে দুদককে সে ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। এর আগে গত ৯ জুলাই আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ অনুসন্ধানে ইভ্যালির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ রাসেল ও চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞায় ইমিগ্রেশনে চিঠি দিয়েছে দুদক।

জানা গেছে, ইভ্যালির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ রাসেল ও তার স্ত্রী যিনি প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান যে কোনো সময় দেশ ত্যাগ করতে পারেন- এমন শঙ্কায় তাদের বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা দিতে ইমিগ্রেশনে চিঠি পাঠানো হয়েছে।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সুপারিশের ভিত্তিতে ইভ্যালির অনিয়ম অনুসন্ধানে দুই সদস্যের কমিটি গঠন করে দুদক। পরে ইভ্যালির এই দুই কর্মকর্তার বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আবেদন করে দুদকের কমিটি। শুক্রবার সে আবেদন আদালত ও পুলিশের বিশেষ শাখায় (এসবি) পাঠানো হয়।

দুদকের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ইভ্যালির চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিন ও এমডি রাসেল দেশত্যাগ করতে পারেন এমন একটি খবর দুদকের কাছে রয়েছে। এ জন্য তাদের বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা দিতে ইমিগ্রেশনে চিঠি পাঠানো হয়েছে। আদালতের অনুমতির বাধ্যবাধকতা থাকায় সেখানেও একই আবেদন পাঠানো হয়। এ নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার ১৫ দিনের মধ্যে আবেদন পাঠানোর নিয়ম থাকায় আমরা আগেই ইমিগ্রেশনে চিঠি পাঠিয়েছি। আদালত খুললে ১৫ দিন পর আবেদনটির বিষয়ে শুনানি হবে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই কর্মকর্তা জানান, গত বছরের নভেম্বরে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে ইভ্যালি ডট কম লিমিটেডের বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদসমূহের পেপার কাটিংসহ একটি অভিযোগের সত্যতা অনুসন্ধানের জন্য দুদকে প্রেরণ করা হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে দুদকের মানি লন্ডারিং অনুবিভাগের দুই সদস্য বিশিষ্ট একটি টিম অনুসন্ধান কার্যক্রম শুরু করে।

জানা গেছে, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে প্রেরিত অভিযোগের মধ্যে ছিল- লোভনীয় অফার প্রদানের মাধ্যমে তার গ্রাহকদের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থ অগ্রিম আদায় করছে। গ্রাহকদের নির্ধারিত সময়ের মধ্যে পণ্য প্রদান করছে না বা অন্য পণ্য প্রদান করছে। গ্রাহকের অর্ডারকৃত পণ্য সরবরাহ করতে ব্যর্থ হলেও যথাসময়ে গ্রাহকের পণ্যমূল্য ফেরত দিচ্ছে না।

পরবর্তীতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে ইভ্যালির বিরুদ্ধে বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদনের আলোকে আরও একটি অভিযোগ দুর্নীতি দমন কমিশনে পাঠানো হয়। সম্প্রতি বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সুপারিশের ভিত্তিতে ও কেন্দ্রীয় ব্যাংকে অভিযোগ প্রাপ্তির পর কমিশন পূর্ববর্তী অভিযোগের সঙ্গে সংযুক্ত করে অনুসন্ধান কার্যক্রম পরিচালনার সিদ্ধান্ত নেয়।

দুদকের একজন সহকারী পরিচালক ও একজন উপসহকারী পরিচালককে সদস্য করে গঠিত তদন্ত কমিটিকে ইভ্যালির গ্রাহক ও মার্চেন্টের ৩৩৯ কোটি টাকার হদিস না মেলার বিষয়টি অনুসন্ধানের দায়িত্ব দেওয়া হয়।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর