চট্টগ্রামে ক্রমাগত হারে বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। একই সঙ্গে করোনায় আক্রান্ত হচ্ছেন সন্তানসম্ভবা ও কোমলমতি শিশুরাও। দেখা দিচ্ছে করোনার নানা উপসর্গ। গর্ভবতী মহিলা ও শিশুরা আক্রান্ত হওয়ায় দুশ্চিন্তা বেড়েছে স্বাস্থ্য বিভাগে। ভাবিয়ে তুলছে চিকিৎসকদের।
জানা যায়, গত এক সপ্তাহ ধরে চট্টগ্রামের সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে অনেক গর্ভবতী মহিলা রোগীর চিকিৎসা চলছে। ইতিমধ্যে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গর্ভবতী মহিলা চিকিৎসা নিয়েছেন শতাধিক, চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে গত এক মাসে চিকিৎসা নিয়েছেন প্রায় ১০ জন, মা ও শিশু হাসপাতালে বর্তমানে চিকিৎসাধীন আছেন ১২ জন, ইতিমধ্যে চিকিৎসা নিয়েছেন ৪০ জন, আইসিইউ ইউনিটে সিজার অপারেশন হয়েছে একজন ও আইসোলেশন ওয়ার্ডে নরমাল ডেলিভারি হয়েছে চারজনের এবং বেসরকারি এভারকেয়ার ও মেট্রোপলিটন হাসপাতালেও আছে ভর্তি। অন্যদিকে, সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সর্বশেষ প্রতিবেদনে দেখা যায়, চট্টগ্রামে করোনার প্রথম ঢেউয়ে শূন্য থেকে ১০ বছর বয়সী শিশু আক্রান্তের হার ছিল ১ বা ২ শতাংশ। কিন্তু বর্তমানে এ হার প্রায় ৩ শতাংশ। ইতিমধ্যে আক্রান্ত হয়েছে মোট ১ হাজার ৭২৭ জন, এর মধ্যে ছেলে ৭৩৩ জন ও মেয়ে ৯৯৪ জন। শিশু মারা গেছে চারজন, এর মধ্যে ছেলে তিনজন ও মেয়ে একজন।
সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বি বলেন, ইদানীং গর্ভবতী মহিলা এবং শিশুরাও করোনায় আক্রান্ত হচ্ছে। ইতিমধ্যে অনেক সন্তানসম্ভবা মহিলার সিজার অপারেশন ও নরমাল ডেলিভারিও হয়েছে। তবে আতঙ্কের কিছু নেই। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা ব্যবস্থা আছে।শিশু বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. মুসলিম উদ্দিন সবুজ বলেন, একই পরিবারের বয়স্করা আক্রান্ত হলে শিশুদের মধ্যেও সংক্রমিত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। তাই বড়রা আক্রান্ত হলে শিশুদের থেকে পৃথক থাকা জরুরি। তবে বড়দের তুলনায় শিশুদের শরীরে ইউমিনিটি ভালো। তাই আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।