বুধবার, ১৪ জুলাই, ২০২১ ০০:০০ টা

ঈদের জামাত ঈদগাহ না মসজিদে ঘোষণা দেবেন ডিসি-ইউএনও

ধর্ম মন্ত্রণালয়ের ১২ নির্দেশনা

নিজস্ব প্রতিবেদক

আগামী ২১ জুলাই (বুধবার) দেশে মুসলমানদের দ্বিতীয় বড় ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল আজহা উদযাপিত হবে। ঈদের দিন দুই রাকাত ওয়াজিব নামাজ আদায় করেন মুসলমানরা। কিন্তু করোনাভাইরাস মহামারীর মধ্যে আসন্ন ঈদুল আজহার ঈদ জামাত মসজিদে না ঈদগাহে অনুষ্ঠিত হবে তা স্থানীয়ভাবে সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসক (ডিসি) ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তারা নির্ধারণ করে দেবেন বলে ঘোষণা করেছে ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়। একই সঙ্গে করোনা মহামারীর এ মহাবিপদ থেকে রক্ষা পেতে বেশি বেশি তওবা, আস্তাগফিরুল্লাহ ও কুরআন তিলাওয়াত করাসহ নিজ নিজ কৃত অন্যায়-অপরাধের জন্য ঈদের নামাজ শেষে মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের দরবারে ক্ষমা প্রার্থনা করার আহ্‌বান জানানো হয়েছে। গতকাল ১২ দফা নির্দেশনাসহ ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের জারি করা প্রজ্ঞাপনে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সঙ্গে আলোচনা ও সমন্বয় করে ঈদ জামাত আয়োজনের বিষয়ে স্থান নির্ধারণ করার এ ক্ষমতা স্থানীয় সরকার প্রশাসনের হাতে ন্যস্ত করা হয়। এতে বলা হয়, ‘করোনাভাইরাসের স্থানীয় পরিস্থিতি ও মুসল্লিদের জীবন-ঝুঁকি বিবেচনা করে স্থানীয় প্রশাসন কর্তৃক জনপ্রতিনিধি ও গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সঙ্গে আলোচনা ও সমন্বয় করে যথোপযুক্ত বিবেচিত হলে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের জারি করা স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে ঈদুল আজহার জামাত মসজিদ, ঈদগাহ বা খোলা জায়গায় আয়োজনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।’ একই সঙ্গে করোনা সংক্রমণ রোধে ঈদের জামাত শেষে কোলাকুলি এবং পরস্পর হাত মেলানো থেকে বিরত থাকতে বলা হয়েছে। এ ছাড়া শিশু, বয়োবৃদ্ধ, অসুস্থ ও তাদের সেবায় নিয়োজিত ব্যক্তিদের ঈদের জামাতে না আনতে বলা হয়েছে। ১২ দফা নির্দেশনার মধ্যে আরও রয়েছে, ঈদের নামাজের জামাতে আগত মুসল্লিদের অবশ্যই মাস্ক পরে এবং নামাজ আদায়ের সময় সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করতে হবে। এক কাতার অন্তর অন্তর কাতার করতে হবে। মসজিদে সংরক্ষিত জায়নামাজ ও টুপি ব্যবহার করা যাবে না। মসজিদে ঈদের নামাজ আয়োজনের ক্ষেত্রে কার্পেট বিছানো যাবে না। নামাজের আগে সম্পূর্ণ মসজিদ জীবাণুনাশক দিয়ে জীবাণুমুক্ত করতে হবে। মুসল্লিরা প্রত্যেকে বাসা থেকে ওজু করে নিজ নিজ দায়িত্বে জায়নামাজ নিয়ে মসজিদ/ঈদগাহে আসবেন। করোনাভাইরাস সংক্রমণরোধ নিশ্চিতে মসজিদ/ঈদগাহে ওজুর স্থানে হাত ধোয়ার ব্যবস্থাসহ সাবান, পানি ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার রাখতে হবে। ওজু করার সময় মুসল্লিদের কমপক্ষে ২০ সেকেন্ড সাবান-পানি দিয়ে হাত ধুতে হবে। মসজিদ/ঈদগাহের খতিব, ইমাম, পরিচালনা কমিটি ও স্থানীয় প্রশাসন কর্তৃক নির্দেশনাগুলোর বাস্তবায়ন করতে হবে। স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিতে সরকারের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ, স্থানীয় প্রশাসন এবং আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণকারী বাহিনীর নির্দেশনা অবশ্যই অনুসরণ করার আহ্‌বান জানানো হয়।

এতে বলা হয়, করোনাভাইরাসজনিত রোগ (কভিড-১৯) সংক্রমণ পরিস্থিতি বিবেচনায় মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে কতিপয় বিধিনিষেধ আরোপ করে নির্দেশনা জারি করা হয়েছে। এ পরিপ্রেক্ষিতে দেশের বর্তমান কভিড-১৯ সংক্রমণ পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের জারি করা স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে শর্তসাপেক্ষে পবিত্র ঈদুল আজহার নামাজের জামাত আদায়ের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অনুরোধ হলো।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর