বুধবার, ১৪ জুলাই, ২০২১ ০০:০০ টা

চট্টগ্রামে অক্সিজেন সিলিন্ডার সংকট

আক্রান্ত হওয়ার পর অধিকাংশ রোগীই মুখোমুখি হচ্ছেন শ্বাসকষ্টের

রেজা মুজাম্মেল, চট্টগ্রাম

চট্টগ্রামে অক্সিজেন সিলিন্ডার সংকট

চট্টগ্রামে প্রতিদিনই করোনায় আক্রান্ত হচ্ছে ৭০০ থেকে ৮০০ জন। আক্রান্ত হওয়ার পর অধিকাংশ রোগীই মুখোমুখি হচ্ছে সংকটাপন্ন অবস্থার। রোগীর মুমূর্ষু অবস্থা তৈরি হলে চিকিৎসার অন্যতম জরুরি উপকরণ অক্সিজেন। ফলে করোনা চিকিৎসায় বেড়েছে সিলিন্ডারের চাহিদা। কিন্তু গত কয়েক দিন ধরে চট্টগ্রামে অক্সিজেন সিলিন্ডারের সংকট দেখা দিয়েছে। বর্ধিত চাহিদার কারণে অসাধু ব্যবসায়ীরা বৃদ্ধি করেছে সিলিন্ডারের দাম।  

তবে সংকটটা বেশি অনুভূত হচ্ছে বেসরকারি হাসপাতাল এবং ব্যক্তিগত পর্যায়ের ব্যবহারে। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, জেনারেল হাসপাতাল এবং মা ও শিশু হাসপাতালে সেন্ট্রাল অক্সিজেন সরবরাহ ব্যবস্থা আছে। কিন্তু সংযোগ না থাকা ওয়ার্ডে সিলিন্ডার সংকট দেখা দিয়েছে। তাছাড়া অনেক রোগীর শ্বাসকষ্ট দেখা দিলে বাসায় অক্সিজেন ব্যবহার করে সেবা নিচ্ছে। বিনামূল্যে বিরতণ করা স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলোও সংকটে পড়েছে।

জানা যায়, এক মাস আগেও ফুল সেটআপের একটি মেডিকেল অক্সিজেন সিলিন্ডারের দাম ছিল ৫ থেকে ৬ হাজার টাকা, এখন বিক্রি হচ্ছে ১০ থেকে ১৪ হাজার টাকায়। আগে একটি অক্সিজেন ফ্লু মিটার বিক্রি হতো ৮০০ থেকে ৯০০ টাকায়, এখন বিক্রি হচ্ছে ১৩০০ থেকে ১৫০০ টাকায়। আগে একটি অক্সিজেন মাস্ক বিক্রি হতো ৪৫ থেকে ৫০ টাকায়, এখন বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ৮৫ টাকায়।

নিউ সিটি সাইন্টিফিক মার্টের স্বত্ত্বাধিকারী আবির সেন রাজু বলেন, গত এক সপ্তাহ ধরে অক্সিজেন সিলিন্ডারের সংকট দেখা দিয়েছে। আমাদেরও কিনতে হচ্ছে বর্ধিত মূল্যে। গত এক সপ্তাহ ধরে আমাদের অক্সিজেন সিলিন্ডারের অর্ডার থাকলেও পাওয়া যাচ্ছে না।  

স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন নিষ্ঠা ফাউন্ডেশনের কর্মকর্তা আবুল কালাম বলেন, এক মাস আগেও দিনে একটি বা দুটি সিলিন্ডার দেওয়া হতো, এখন প্রতিদিন ৬ থেকে ৮টি অক্সিজেন সিলিন্ডারের জন্য ফোন আসছে। এমনকি আজ অক্সিজেনের অভাবে একজন রোগী মারাও গেছেন। 

চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বি বলেন, সরকারি তিনটি হাসপাতালে সেন্ট্রাল অক্সিজেন সরবরাহ আছে। ফলে এখানে সংকট নেই। তবে হাসপাতালে ভর্তিকৃত অধিকাংশ রোগীরই অক্সিজেন প্রয়োজন হচ্ছে।  

সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, চট্টগ্রামে গত সোমবার এক দিনেই করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ১০ জন এবং নতুন করে শনাক্ত হয় ৯৫৫ জন। গতকাল পর্যন্ত চট্টগ্রামে মোট আক্রান্ত হন ৬৬ হাজার ৮৮৪ জন। এর মধ্যে মহানগরে ৫১ হাজার ২৯৭ জন এবং উপজেলায় ১৫ হাজার ৪৮৭ জন। ইতিমধ্যেই মারা গেছেন ৭১০ জন। এর মধ্যে মহানগরে ৫০৪ জন ও উপজেলায় ২৮৬ জন। চট্টগ্রামে সরকারি-বেসরকারি ১১টি ল্যাবে নমুনা পরীক্ষা চলছে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর