গেট বন্ধ ছিল তাই শ্রমিকরা বের হতে পারেননি। কেন গেটে তালা ছিল আর কেনই বা আগুন লাগার পরও গেটটি খুলে দেওয়া হয়নি- এ নিয়েই সবচেয়ে বেশি ক্ষোভ ছিল রূপগঞ্জে সেজান জুস কারখানায় আগুনে নিহত ও আহতদের স্বজনদের মধ্যে। তারা মনে করেন গেট খুলে দিলেই বেঁচে যেত অনেক প্রাণ। অবশেষে এসব প্রশ্নের উত্তর খুঁজে পেয়েছে পুলিশ। গতকাল বিকালে এক সংবাদ সম্মেলনে নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জায়েদুল আলম বলেন, ‘রিমান্ডে জানতে পেরেছি গেটের চাবি সেকশন ইনচার্জের কাছে সব সময় থাকত। গেট তালা মারা থাকার মূল কারণ ছিল শ্রমিকরা ছাদে গিয়ে যাতে অপ্রীতিকর কোনো কাজে না জড়াতে পারেন। তবে কারও জরুরি প্রয়োজন হলে তালা খুলে দেওয়া হতো।’ পুলিশ সুপার আরও জানান, আগুন লাগার পর সেকশন ইনচার্জ সবাইকে বলেছিলেন আগুন অন্য দিকে চলে যাবে। সবাই এ পাশে এসে পড়লে নিরাপদে থাকবেন। কিন্তু একপর্যায়ে অন্যদের সঙ্গে আগুনে পুড়ে মারা যান সেকশন ইনচার্জও। এজন্য তালা আর খোলা হয়নি। এদিকে পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে ভবন নির্মাণে অনিয়মসহ বিভিন্ন বিষয়ে প্রশ্ন করা হলেও কোনো সদুত্তর দিতে পারেনি কারখানা কর্তৃপক্ষ। ঘটনাটি যে তাদের অবহেলায় ঘটেছে তা তারা স্বীকার করেছেন।