শনিবার, ১৭ জুলাই, ২০২১ ০০:০০ টা

সিলেটে অর্থাভাবে হচ্ছে না ৪০০ বেডের কভিড আইসোলেশন সেন্টার

শাহ্ দিদার আলম নবেল, সিলেট

সিলেটে অর্থাভাবে হচ্ছে না ৪০০ বেডের কভিড আইসোলেশন সেন্টার

সিলেটে বেড়েই চলছে করোনা সংক্রমণ। কঠোর লকডাউনেও কমছে না আক্রান্ত শনাক্তের হার। বরং আশঙ্কাজনকভাবে বেড়ে চলছে সংক্রমণ ও মৃত্যু। এই অবস্থায় চাপ বেড়েছে হাসপাতালে। কভিড ডেডিকেটেড ১০০ শয্যার শহীদ শামসুদ্দিন আহমদ হাসপাতালে তিল ধারণের ঠাঁই নেই। সরকারি-বেসরকারি কোনো হাসপাতালে মিলছে না আইসিইউ। হাসপাতালে ভর্তি হতে না পেরে অনেক রোগীর অবস্থা সংকটাপন্ন হয়ে পড়েছে। এই অবস্থায় সিলেটে সরকারি ব্যবস্থাপনায় আইসোলেশন সেন্টার বাড়ানোর তাগিদ উঠেছে। ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৪০০ শয্যার একটি আইসোলেশন সেন্টার চালুর সম্ভাবনা থাকলেও কেবলমাত্র সেন্ট্রাল অক্সিজেন ব্যবস্থা না থাকায় তা সম্ভব হচ্ছে না। এর জন্য প্রয়োজন প্রায় ৪ কোটি টাকা। ৪০০ শয্যার সেন্টারটি চালু করা গেলে সিলেটে কভিড চিকিৎসা সংকট অনেকাংশে কেটে যাবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। সিলেটে সরকারি-বেসরকারি হাসপাতাল মিলে কভিড চিকিৎসার জন্য প্রায় সাড়ে ৮০০ শয্যা রয়েছে। এর মধ্যে সরকারি ৪ হাসপাতালে রয়েছে ৪২২টি শয্যা। গত এক সপ্তাহ ধরে এই সাড়ে ৮০০ শয্যার মধ্যে ৯০ ভাগই রোগীতে পূর্ণ রয়েছে। বেসরকারি হাসপাতালে কিছু শয্যা খালি থাকলেও সামর্থ্যহীনদের পক্ষে সেখানে ভর্তি হওয়া সম্ভব হচ্ছে না। সরকারি হাসপাতালগুলোতে সিট না পেয়ে ফিরে যাচ্ছেন তারা। দেশে কভিড পরিস্থিতির অবনতি ও সিলেটে আশঙ্কাজনকভাবে সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আরও ৪০০ শয্যার একটি আইসোলেশন সেন্টার করার উদ্যোগ নেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন। এ লক্ষ্যে হাসপাতালের ১০তলা আউটডোর বিল্ডিংয়ে সিট বসানোসহ অন্যান্য আনুষঙ্গিক সুযোগ-সুবিধার ব্যবস্থা করা হয়। কিন্তু সেন্ট্রাল অক্সিজেন ব্যবস্থা না থাকায় আইসোলেশন সেন্টারটি চালু করা সম্ভব হয়নি। সেন্ট্রাল অক্সিজেন লাইন স্থাপন ও আনুষঙ্গিক কাজের জন্য ৪ কোটি টাকার একটি প্রকল্প তৈরি করে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে পাঠায় গণপূর্ত বিভাগ। কিন্তু এখনো সে বরাদ্দ পাওয়া যায়নি। তবে সরকারি বরাদ্দ পাওয়া না গেলেও ওসমানীতে ৪০০ শয্যার আইসোলেশন সেন্টার স্থাপনের ব্যাপারে আশার বাণী শুনিয়েছেন সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী। গত শুক্রবার পররাষ্ট্রমন্ত্রীর উদ্যোগে ডাকা জরুরি জুম মিটিংয়ে মেয়র সরকারের কাছ থেকে অর্থ বরাদ্দ না পেলেও সিলেটের মানুষকে সঙ্গে নিয়ে আইসোলেশন সেন্টারটি চালুর ঘোষণা দেন। মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী বলেন, ‘একটি কঠিন সংকটময় সময় পার করছেন সিলেটের মানুষ। কভিড পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে। সামনে কী পরিস্থিতি অপেক্ষা করছে আমরা কেউ জানি না। সরকারের কাছ থেকে অর্থ বরাদ্দ না পেলেও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেনকে সঙ্গে নিয়ে ওসমানীতে ৪০০ শয্যার আইসোলেশন সেন্টার চালু করব। পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও আমি প্রয়োজনে সিলেটের বিশিষ্টজনদের সঙ্গে নিয়ে টাকার ব্যবস্থা করব। তবুও সিলেটের মানুষকে বিনা চিকিৎসায় মরতে দেব না। এ ব্যাপারে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে কথা হয়েছে। তিনিও সহযোগিতার পূর্ণ আশ্বাস দিয়েছেন।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর