সোমবার, ১৯ জুলাই, ২০২১ ০০:০০ টা

৯২ শতাংশ রোগী চিকিৎসা নিচ্ছেন বাড়িতে, খুলনায় বাড়ছে মৃত্যুঝুঁকি

ডেডিকেটেড হাসপাতালে আরও ৭০ শয্যা

নিজস্ব প্রতিবেদক, খুলনা

খুলনার বটিয়াঘাটার চক্রাখালির অনুপমা মল্লিক (৪২) করোনায় আক্রান্ত হলে স্থানীয় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে তাকে ভর্তি করা হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালে রেফার্ড (স্থানান্তর) করা হয়। কিন্তু হাসপাতালে শয্যা খালি না থাকায় ভর্তি করতে না পেরে বাড়িতে রেখেই চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছিল। ১৭ জুলাই ভোররাতে শ্বাসকষ্টে তার মৃত্যু হয়। একইভাবে খুলনা জেলায় করোনা আক্রান্ত উল্লেখযোগ্য সংখ্যক রোগীকে হাসপাতালে শয্যা সংকটে বাড়িতে রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। অনেক ক্ষেত্রে রোগীর অক্সিজেন স্যাচুরেশন নিচে নেমে যাওয়া, শ্বাসকষ্টসহ নানা কারণে মৃত্যু হচ্ছে। খুলনা মেডিকেল কলেজের উপাধ্যক্ষ ডা. মেহেদী নেওয়াজ বলেন, অনেক সময় রোগীরা হাসপাতালে আসছেন অনেক দেরিতে। সিভিল সার্জন অফিস জানায়, জেলায় এই মুহূর্তে করোনা আক্রান্ত হয়ে অসুস্থ রয়েছেন সাড়ে ৩ থেকে ৪ হাজার জন। এর মধ্যে হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন ৪০৮ জন। বাকি আড়াই থেকে ৩ হাজার করোনা আক্রান্ত রোগী বাড়িতে থেকেই চিকিৎসা নিচ্ছেন। জেলা সিভিল সার্জন অফিসের মেডিকেল অফিসার ডা. সাদিয়া মনোয়ারা উষা জানান, শয্যা সংকটে সবাইকে হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া সম্ভব হয় না। গতকাল নতুন করে আরও ৩৯৪ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। তথ্য অনুযায়ী, এর ফলে প্রতিদিন আক্রান্তের ৯২ দশমিক ৩৮ শতাংশ রোগীকে বাড়িতে রেখেই চিকিৎসা দিতে হচ্ছে। জানা যায়, খুলনা ডেডিকেটেড, আবু নাসের বিশেষায়িত হাসপাতাল, জেনারেল হাসপাতাল ও গাজী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বর্তমান রোগী ভর্তি রয়েছেন ৪০৮ জন। এর মধ্যে শুধু ডেডিকেটেড হাসপাতালে ১৩০ শয্যার বিপরীতে রোগী ভর্তি রয়েছেন ২০৬ জন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ডেডিকেটেড হাসপাতালে আরও ৭০টি শয্যা বৃদ্ধি করা হয়েছে।

খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. মো. রবিউল হাসান জানান, লিকুইড অক্সিজেন প্লান্ট চালু হওয়ায় প্রতি শয্যায় অক্সিজেন সুবিধা দিয়ে ১৩০ শয্যার হাসপাতালকে ২০০ শয্যায় উন্নীত করা হয়েছে। এতে আরও বেশি সংখ্যক রোগী হাসপাতালে ভর্তি থেকে চিকিৎসাসেবা নিতে পারবেন।

 

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর